‘কসাই’ জিহাদ কোথায় ছিল জানত না পরিবার
২৫ মে ২০২৪ ১৬:৫১
খুলনা: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় ভারতে জিহাদ হাওলাদার নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লী এলাকায় অবৈধভাবে জিহাদ থাকতেন এবং সেখানে তিনি কসাই জিহাদ নামেই পরিচিত ছিলেন।
ভারতে গ্রেফতার জিহাদ হাওলাদারের বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নে। এলাকায় তিনি রং মিস্ত্রী হিসেবে পরিচিত ছিল। চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে জেরে হত্যা প্রচেষ্টা মামলাসহ, মারামারি, ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামি তিনি।
সিআইডি জানায়, জিহাদ অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বসবাস করতেন। দুই মাসে আগে সংসদ সদস্য আনারকে হত্যার জন্য কলকাতায় আনে আখতারুজ্জান শাহীন। খুনের সময় আরও চার বাংলাদেশি ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন। কিলিং মিশন শেষে মরদেহ টুকরো টুকরো করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে গুম করা হয় বলে জানান জিহাদ।
এলাকাবাসীরা জানায়, তার নামে একাধিক মামলা আছে। গ্রামের চেয়ারম্যানের সঙ্গে এক দ্বন্দ্বের কারণে মামলায় জড়ায়। এরপর ঢাকায় একটি মামলা হওয়ার পর এলাকায় তাকে দেখা যায়নি। জিহাদের পরিবারের সদস্যরা সকলেই ভালো। বছর খানেক জিহাদ এলাকায় নেই। চার ভাই এবং এক বোন তারা।
জিহাদ হাওলাদারের বাবা জয়নাল আবেদীন হাওলাদার বলেন, ‘জিহাদের সঙ্গে বহুদিন ধরে আমার কথা হয়নি। এলাকায় মারামারি ঘটনা থেকে তার ছেলে সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তবে এমন ঘটনা ঘটাবে তা কোনোদিন ভাবেননি। ঢাকায় একটি ঝামেলার পর জেলে ছিল। তার কারণে আমার পরিবার শেষ হয়ে গেছে।’
জিহাদ হাওলাদারের স্ত্রী মুন্নী বেগম জানান, ২০১৯ সালে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে জিহাদের সঙ্গে বিয়ে হয়। সেসময় জিহাদ রং মিস্ত্রির কাজ করতো। ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর একটি ছেলে হয়। সর্বশেষ সাড়ে ৯ মাস আগে জিহাদের সঙ্গে কথা হয় তার। এখানে তার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা ছিল। ঢাকার একটি মামলায় বাড়িতে কয়েকবার ডিবি পুলিশ এসেছিল। ঢাকায় একটি ডাকাতি মামলা ছিল। প্রায় ১ বছর জিহাদ এখান থেকে চলে গেছে। কোনোদিন বাড়িতে টাকা-পয়সাও পাঠায়নি। সংসদ সদস্যকে হত্যা মিশনে নেতৃত্ব দেওয়া শীর্ষ চরমপন্থি নেতা শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা অথবা এই ধরনের কোনো অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা তাও আমার জানা নেই।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার জানান, জিহাদ হাওলাদারের বিরুদ্ধে দিঘলিয়া থানায় ২০২৩ সালের ৮ জুন অস্ত্র আইনে, ২০২০ সালের ২৯ মে মারামারি ও ২০২০ সালের ২২ এপ্রিল মারামারির মামলা রয়েছে। তবে অনেক দিন ধরে সে আত্মগোপনে রয়েছে।
সারাবাংলা/একে