Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পূর্বাচলে অবৈধ আবাসিক প্রকল্পের সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ

সারাবাংলা ডেস্ক
২৬ মে ২০২৪ ১৭:৪৪

ফাইল ছবি

ঢাকা: ঢাকার অদূরে পূর্বাচলের সরকারি আবাসিক প্রকল্পের আশেপাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা আবাসিক প্রকল্পে থাকা বিভিন্ন সাইনবোর্ডগুলো অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় এসব অবৈধ আবাসন কোম্পানিগুলোর সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন।

উক্ত আদেশ বাস্তবায়ন করে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের করতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ মে) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মন্ডল, নাসরিন সুলতানা ও সেলিম রেজা। রাজউকের পক্ষে ছিলেন ইমাম হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ঢাকার পূর্বাচলে, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার কিছু অংশ নিয়ে সরকার পূর্বাচল টাউন প্রকল্প গ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন ব্যক্তিদের বরাদ্দ প্রদান করেন এবং এর কিছুদিন পরে উক্ত এলাকার আশেপাশ কালিগঞ্জ ও রূপগঞ্জ উপজেলায় অনেকগুলো আবাসন প্রতিষ্ঠান আবাসন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় বিভিন্ন স্থানে প্লট বিক্রির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জলাধারের মধ্যেও সাইনবোর্ড স্থাপন করে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয় যে, উক্ত আবাসন কোম্পানিগুলোর বৈধতা নেই এবং এদের দ্বারা জনগণ বিভিন্নভাবে প্রতারিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এরপর গণমাধ্যমের সংবাদকে গুরুত্ব দিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইট ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন।

এইচআরপিবি পক্ষে পিটিশনার হলেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ।

রিটে পরিবেশ, সচিব ও ভূমি সচিব, রাজউকের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি), নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি)সহ মোট ১৪ জনকে বিবাদী করা হয়।

আদালত শুনানি শেষে রুল জারি করে উক্ত এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন খাল, বিল ও জলাধার যাতে ভরাট করতে না পারে সে ব্যাপারে স্থিতি অবস্থার আদেশ প্রদান করেন।

পরে বিবাদীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং বিভিন্ন অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদের কথা আদালত অবহিত করেন।

মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, ‘এর বছর তিনেক পরে পুনরায় এলাকাসমূহের বিভিন্ন জলাধারে আবাসন কোম্পানিগুলো আবারও সাইনবোর্ড স্থাপন করে। এ বিষয়ের তথ্য জানার পরে এইচআরপিবি সংগঠনের একটি টিম উক্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং তার সত্যতা পান। এরপর আদালতে আবেদন দাখিল করে সাইনবোর্ডগুলো অপসারণের নির্দেশনা চাওয়া হয়।’

শুনানির সময় আবেদনকারীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘সাইনবোর্ডেগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন জনগণ বিভিন্নভাবে প্রতারিত হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। এ সব আবাসন কোম্পানিগুলোর কোনো প্রকার অনুমোদন নেই। এমনকি বিভিন্ন জলাধার, খাল, পুকুরের মধ্যেও সাইনবোর্ড স্থাপন করে সেগুলো বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী এ সকল জলাধার ভরাট করার কোনো বিধান আইনে দেওয়া হয়নি।’

শুনানি শেষে আদালত দুই মাসের মধ্যে রুপগঞ্জ এবং কালীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় এসব অবৈধ আবাসন কোম্পানিগুলোর সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন।

আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের করতে বলা হয়েছে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

আবাসিক প্রকল্প জলাধার প্রকল্প পূর্বাচল হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর