ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখমের জেরে তরুণকে পিটিয়ে হত্যা
২৬ মে ২০২৪ ১৮:৪২
নোয়াখালী: জেলার চাটখিল উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
রোববার (২৬ মে) ভোর রাতের দিকে উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আহাদ আহমেদ ওরফে হাম্বা (২০) উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারী বাড়ির বাবর হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শক্রতার জের ধরে ভোররাতের দিকে নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) ওমর ফারুক পাটোয়ারীকে তার ভাড়া বাসা মাদরাসা আলা পাঠান বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। খবর পেয়ে মেম্বারের অনুসারী ও স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত আহাদের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তাকে তার বাড়িতে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নোয়াখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. মানিক বলেন, ‘আহাদ আগে থেকেই মাদকাসক্ত ও বেপরোয়া ছিল। রোববার ভোররাতের দিকে সে মেম্বারের ঘরের দরজায় হাত দিয়ে টোকা দেয়। এরপর মেম্বার ফারুক দরজা খুলতেই তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী আহাদের বাড়িতে গেলে সেখানে সে ছালেহ আহমদ নামে আরও এক ব্যক্তিকে জখম করে। এর জের ধরে স্থানীয় লোকজন আহাদের বাড়িতে তাকে ধরে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুত্বর আহত মেম্বারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফারুক মেম্বারের ঘরে গিয়ে আহাদ নামে এক ছেলে তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করে। এ সময় গণপিটুনিতে তিনি মারা যান।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘নিহত আহাদ শরীফ বাহিনীর সদস্য ছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধে থানায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা নেই। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে।’ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেন জানান তিনি।
সারাবাংলা/পিটিএম