খুলনায় আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ
২৬ মে ২০২৪ ২২:১৯
খুলনা: প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল থেকে বাচঁতে খুলনার উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকার মানুষ ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
ঝড়ের কারণে ১০ নং মহাবিপৎ সংকেত জারির পর রোববার (২৬ মে) রাত পর্যন্ত ৫টি উপজেলার সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। প্রতিনিয়ত এই সংখ্যা বাড়ছে। স্বেচ্ছাসেবকরা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য স্থানীয়দের সহযোগিতা করছেন।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় খুলনায় উপকূলীয় তিন উপজেলাসহ জেলার ৯টি উপজেলায় ৬০৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।। এছাড়া তিনটি মুজিব কিল্লা ও পাঁচ সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত রয়েছে। প্রস্তত রাখা হয়েছে ঢেউটিন ও নগদ টাকা, শুকনো খাবার ও ওষুধ। প্রস্তুত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা আবদুল করিম জানান, ‘খুলনার উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যারা মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শুকনা খাবারসহ আপদকালীন সাহায্য হয়েছে কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলায় প্রতিটিতে দেড় লাখ নগদ টাকা এবং ১০ টন চাল পাঠানো হয়েছে। বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলায় নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছে।’
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৬০৪ সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। এসব সাইক্লোন শেল্টারে মোট ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া তিনটি মুজিব কিল্লায় ৪৩০ জনকে আশ্রয় ও ৫৬০টি গবাদি পশু রাখা যাবে। কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সারাবাংলা/একে