তজুমদ্দিনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা, গ্রেফতার ৩
২৬ মে ২০২৪ ২৩:৪৭
ভোলা: ভোলার তজুমদ্দিনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফুটবল প্রতীকের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কহিনুর বেগম শিলার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় গুরুতর আহত কহিনুরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় কহিনুর বেগম শিলা প্রতিদ্বন্দ্বী কলস প্রতীকের প্রার্থী ফাতেমা বেগম সাজুকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে তজুমদ্দিন থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ফাতেমা বেগম সাজুর ভাই আলী হায়দার হেঞ্জু, ছেলে কামরুল হাসান সবুজ ও ভাতিজা মো. রাব্বিকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার (২৫ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আড়ালিয়া মাতাব্বর কান্দি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গ্রেফতার তিনজনকে রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কহিনুর বেগম শিলা জানান, শনিবার রাতে তিনি নির্বাচনি প্রচার শেষ করে ভাগনে মো. বাবলুর মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে চাঁদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আড়ালিয়া মাতাব্বর কান্দি এলাকায় কলস প্রতীকের প্রার্থী ফাতেমা বেগম সাজুর কর্মী-সমর্থকরা রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তাকে ও তার সঙ্গে থাকা ভাগনে বাবলুকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। তাদের সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রোববার বিকেলে কহিনুর বেগম শিলার স্বামী তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানেও তিনি একই অভিযোগ করেন। বলেন, কহিনুর বেগম প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফাতেমা বেগম সাজু ও তার অনুসারীরা তাকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন, নির্বাচনি প্রচারে বাধা দিচ্ছেন।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হক জানান, হামলার ঘটনায় কহিনুর বেগম শিলা বাদী হয়ে আরেক প্রার্থী ফাতেমা বেগম সাজুসহ আটজনের নামে মামলা করেছেন। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সারাবাংলা/টিআর