দুপচাঁচিয়া পৌর মেয়র জাহাঙ্গীরের জামিন বহাল
২৭ মে ২০২৪ ১৪:০৫
ঢাকা: বিচারপতির সই জালিয়াতি করে ভুয়া জামিন আদেশ তৈরির অভিযোগের ঘটনায় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র ও বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে (৪৮) হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আগামী ১ বছরের মধ্যে এ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে, ২৭ মার্চ বিচারপতির সই জালিয়াতি করে ভুয়া জামিন আদেশ তৈরির ঘটনায় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমের (৪৮) জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এরপর বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগে আসে।
এর আগে, ২১ মার্চ বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে জামিন দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
তারও আগে গত ৭ মার্চ জাহাঙ্গীর আলম দুদকের মামলায় আত্মসমর্পণ করলে ওই আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।
এ মামলার পলাতক অপর আসামিরা হলেন- পৌরসভার সচিব বগুড়া শহরের উত্তর জয়পুরপাড়ার রতন চন্দ্র দাসের ছেলে কার্তিক চন্দ্র দাস ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ধাপ সুখানগাড়ি বম্বপাড়ার সোলাইমান আলীর ছেলে আবদুল মজিদ।
আদালত সূত্র জানায়, দুপচাঁচিয়া পৌর মেয়র বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় সিও অফিস সড়কের আফতাব হোসেনের ছেলে। বেশ কয়েক বছর আগে দুর্নীতির অভিযোগে তিন আসামির বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়। পরে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতিমূলে হাইকোর্টের ফৌজদারি মিস কেসের ভুয়া আদেশ তৈরি করেন। এরপর সেটি বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করে ওই মামলার বিচার কার্যক্রম ১০ বছর স্থগিত করান।
পরে রেজিস্ট্রার জেনারেলের নির্দেশনায় হাইকোর্টের রিট শাখার সুপারিন্টেনডেন্ট আবদুল মোমেন বাদী হয়ে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে মামলা করেন। ২০২২ সালের ১৬ মার্চ হাইকোর্টের এই সংক্রান্ত এক মামলার রায়ের আলোকে ওই ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ