শিক্ষক সমিতির নির্বাচন দাবি শেকৃবি শিক্ষকের, সভাপতির বাধা
২৭ মে ২০২৪ ১৭:২৬
ঢাকা: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিন্ন এক দাবিতে মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি নির্বাচনের দাবি জানান শিক্ষকরা। তবে এ সময় বক্তব্যে বাধা দেন নীল দল থেকে নির্বাচিত শিক্ষক সমিতির সভাপতি। শুধু পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন এর কথা জানানো হলেও দীর্ঘ ৭ বছর যাবৎ শিক্ষক সমিতি অকার্যকর থাকায় এ দাবি উত্থাপন করা হয় বলে জানান তারা।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বর্তমান কমিটির নির্বাচন ২০১৭ সালে ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনে নীল দলে জয় পায়। এরপর থেকে প্যানেলের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম সভাপতি ও মিজানুর রহমান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষকদের দাবি, ৭ বছর পার হলেও নতুন কমিটি বা কোনো নির্বাচন এর রূপরেখাও দেয়নি তারা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধার কোনো চিন্তা ধারাও এই দীর্ঘসময়ে পরিলক্ষিত হয়নি।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এক দাবিতে করা মানববন্ধনে বক্তব্য দিতে চাইলে অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলামকে দেরি করে আসার জন্য বক্তব্য দেওয়া যাবে না বলে জানান নীল দল থেকে নির্বাচিত সভাপতি ড. মো. নজরুল ইসলাম। তবে অল্প কিছু বলার দাবি জানালে বাধ্য হন তিনি। বক্তব্যের এক পর্যায়ে শিক্ষক সমিতির পুনর্গঠনে নির্বাচনের দাবি জানায় অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। এসময় তাকে কথা থামানোর জন্য আবারও বাধা দেন সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।
পরবর্তীতে বক্তব্যে এসে অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী একই দাবি জানিয়ে যান। এর আগে শিক্ষক সমিতির স্থবিরতা নিয়ে জানানো হয়, সাধারণ সভার মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন অবধি বৃদ্ধি করা হয়েছে সমিতির মেয়াদ। তাই গত ৭ বছর একই কমিটিতে চলছে শেকৃবি শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম।
বক্তব্য চলাকালে বাধাদানের বিষয়ে নীল দল থেকে নির্বাচিত সভাপতি ও বর্তমান শেকৃবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের আহ্বানেই মানববন্ধন কর্মসূচি হয়েছিল। তবে এর উদ্দেশ্য ছিল একটা। এর মাঝে অন্য কোনো এজেন্ডা এনে মূল উপজীব্য বিষয় থেকে দূরে যাওয়া বা শিক্ষকদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি যেন না হয় সে জন্য আমি তাকে অনুরোধ করেছিলাম। শিক্ষক সমিতি সম্পর্কে তারা কিছু দাবি জানাতে চাইলে বিক্ষিপ্তভাবে না জানিয়ে গঠনমূলকভাবে দাবি জানালেই পারে।’
সারাবাংলা/একে