Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাছ ধরা নিষিদ্ধে ভারতের সঙ্গে সময় সমন্বয় করা প্রয়োজন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৮ মে ২০২৪ ১৮:৪১

ঢাকা: সমুদ্রে মাছ ধরার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের সময়ের পার্থক্য রয়েছে। ফলে দেশের মৎসজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সেজন্য ইলিশ ও মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ভারতের সঙ্গে সময় সমন্বয় করে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘উপকূলের কৃষি ও মৎস সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক সভায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে আসে। সভাটি আয়োজন করে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’ এবং ‘ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’।

আলোচনা সভায় পায়রাবন্দর ও পটুয়াখালী পাওয়ার প্ল্যান্টের কারণে কৃষি ও মৎস্য খাতে কেমন প্রভাব পড়েছে তার গবেষণালব্ধ তথ্য তুলে ধরা হয়। নদীর ইলিশের ওপর ফলাফল উপস্থাপন করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের গবেষণা প্রধান মো. ইকবাল ফারুক, তরমুজ চাষে প্রভাবের তুলে ধরেন কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম এবং সার্বিক কৃষির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশিকুর রহমান।

পৃথক তিনটি গবেষণায় দেখা গেছে, পায়রা বন্দরে বড় বড় জাহাজ চলাচলের কারণে নদীতে ইলিশের পরিমাণ কমে গেছে। জেলেরা আগের মতো মাছ পাচ্ছেন না। পটুয়াখালী পাওয়ার প্ল্যান্টের কারণে নদীর পানির গুণগতমান কমে গেছে। কৃষি জমিতে তরমুজের ফলন অনেক কমে গেছে। নতুন রোগবালাইয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছেন চাষিরা। পাওয়ার প্ল্যান্টের আশপাশ এলাকায় গাছের পাতার ওপর কালো বর্জ্যের আস্তরণ পড়ছে। এতে সামগ্রিকভাবে ওই অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে।

ধরিত্রী রক্ষায় আমরার (ধরা) সহ-আহ্বায়ক এমএস সিদ্দিকী বলেন, ‘উন্নয়ন হতে হবে। কিন্তু উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের লাভ-ক্ষতির গবেষণা করতে হবে এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। আমরা জেনেছি, মে থেকে জুন ৬৫ দিন, অক্টোবরে ২২ দিন প্রজননক্ষম মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। কিন্তু সেই সময়ে ভারতের জেলেদের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তারা বঙ্গোপসাগরে উভয় এলাকায় অবাধে ইলিশ শিকার করছে। তাতে আমাদের দেশের মৎস্যসম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারকে এই বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। যাতে দুই দেশের মাছ ধরা নিষিদ্ধের সময়কাল সমন্বয় করা যায়।’

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘অপরিকল্পিত মেগাপ্রকল্প উপকূলের মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনছে। এটার কারণে মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সরকারের উচিত পরিবেশ সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।’

ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নে লাভ কতটুকু আর ক্ষতি কতটুকু এটা বিশ্লেষণ জরুরি। কারণ উন্নয়নের নামে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত করা ঠিক নয়।’

পরিবেশের সুরক্ষায় সরকার কাজ করছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, ’সরকার কাজ করছে, বরাদ্দ দিচ্ছে। বরাদ্দের বড় অংশ কেউ পকেটে ভরলে সরকারের কি করার থাকে? অনেক সরকারি কর্মকর্তা দায়িত্বকালীন পকেট ভরে, চাকরি শেষে মঞ্চে ওঠে সরকারের সমালোচনা করে ভালো মানুষ সাজে।’

এ সময় আরও বক্তব্য দেন ধরা’র উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ঢাকা আর্চ ডায়োসিসের আর্চবিশপ বিজয় নিসফরাস ডি’ক্রুজ, উপকূল রক্ষায় আমরা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা আন্দোলনের সমন্বয়ক নূর আলম শেখ প্রমুখ।

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

টপ নিউজ ভারত মাছ ধরা সমন্বয় সময়


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর