Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডয়েচে ভেলেকে মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার প্রমাণের আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৮ মে ২০২৪ ১৯:৩৩

ফাইল ছবি: মোহাম্মদ এ আরাফাত, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: গাজায় গণহত্যা নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও প্রচারের মাধ্যমে ডয়েচে ভেলেকে মানবাধিকারের প্রতি তার অঙ্গীকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রমাণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ’র সম্মেলন কক্ষে ‘অনগ্রসর, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকের তথ্য অধিকার’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। তথ্য কমিশন বাংলাদেশ, ইউএস এইড এবং দ্য কার্টার সেন্টার যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নিকট অতীতে ডয়েচে ভেলে মানবাধিকার নিয়ে একটি রিপোর্ট করেছে। যেখানে শ্রীলংকা, যে দেশ কিছু দিন আগেও গৃহযুদ্ধ মোকাবিলা করেছে তার সঙ্গে বাংলাদেশকে তুলনা করা হয়েছে। আমি এটির সমালোচনা করব না। মানবাধিকার নিয়ে যেকোনো সংস্থার অঙ্গীকারের আমি প্রশংসা করি। শুধু আমি আহ্বান জানাব, ডয়েচে ভেলের যদি মানবাধিকারের প্রতি এত অঙ্গীকার থাকে সেটার প্রমাণ তারা দিক। গাজাতে মানবাধিকারের যে লঙ্ঘন হচ্ছে, গণহত্যা হচ্ছে সেটার ওপর আরেকটি প্রামাণ্যচিত্র তারা বানিয়ে দিক। তার মাধ্যমে মানবাধিকারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রমাণ করুক এবং সেইসঙ্গে তাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটুকু আছে সেটাও তারা প্রমাণ করুক।’

এ আরাফাত বলেন, ‘আর যদি সেটা তারা করতে না পারে তাহলে আমরা ধরে নেব ডয়েচে ভেলের প্রামাণ্যচিত্র একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে। একটা বিশেষ মহল বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি করেছে। যারা প্রকৃত অর্থে আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনের সমস্যা এবং তাদের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলে না। বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে খাটো করে দেখানোর যে অপচেষ্টা করে, তার অংশ হিসেবে এই প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার অবিশ্বাস্য। বঙ্গবন্ধুকন্যার শক্ত নেতৃত্বে আমরা যখন এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা যখন বিশ্বমঞ্চে আমাদের অবস্থান বদলানোর চেষ্টা করছি, তখন এক ধরণের আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্র আমরা লক্ষ্য করি।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অবহেলিত জনগোষ্ঠীর, ভূমিহীনদের মানবাধিকার সংরক্ষণ, তাদের ভোটাধিকার সংরক্ষণ এবং ভোট প্রদানের মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংরক্ষণ করায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কাজ করছে। তবে এই বিষয়গুলো রাজনৈতিক ফোরামে উঠে আসে না। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মানবাধিকারের সুরক্ষা এক সময় অবহেলিত হয়েছিল, সবসময় তাদের বঞ্চনা ছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা সেগুলোর সমাধান করেছেন।’

তথ্যকে শক্তি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘তথ্যের দু’টি দিক আছে। তথ্য যদি সঠিক হয় তাহলে সেটি শক্তিশালী। এটি যদি সঠিক না হয়, তাহলে ধ্বংসাত্মক হতে পারে। সামাজিকভাবে যে অপতথ্যগুলো আমাদের দেশের সাধারণ মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে, সেগুলো নিয়ে আমরা অনেকে চিন্তা করি না, কথা বলি না। শুধু রাজনৈতিক অপতথ্য না, সামগ্রিকভাবেই অপতথ্য ধ্বংস ডেকে আনে।‌ আর সঠিক তথ্য মানুষকে ক্ষমতায়িত করে। এ কারণে সঠিক তথ্য পাওয়া নিশ্চিতের সঙ্গে সঙ্গেহ অপতথ্য রোধে আমাদের কাজ করা দরকার।’

প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, ইউএস এইড-এর অফিস পরিচালক অ্যালেনা তানসে, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক এবং তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি।

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশনের সচিব জুবাইদা নাসরীন। স্বাগত বক্তব্য দেন ‘দ্য কার্টার সেন্টারের চিফ অব পার্টি’ সুমনা সুলতানা মাহমুদা। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন। পরে প্রতিমন্ত্রী তথ্য কমিশনের তথ্য অধিকার নিউজ লেটার-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

তথ‍্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর