Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভিন্নতা প্রয়োজন, তাই এয়ারবাস কিনতে চায় বিমান’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৯ মে ২০২৪ ১৮:৪৯

ঢাকা: বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস থেকে যাত্রীবাহী এয়ারক্রাফট কেনার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. শফিউল আজিম।

বুধবার (২৯ মে) দুপুরে অ্যাভিয়েশন ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

বিমানের বিদায়ী এমডি বলেন, ‘এয়ারবাস ফ্লাইট কেনার জন্য দুটি প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রথমটিতে দু’টি কার্গো ফ্লাইট বিক্রির কথা বলা হয়েছিল। আমাদের মনে হয়েছে, আপাতত কার্গো বিমান কেনার দরকার নাই। তাই আমরা যাত্রীবাহী বিমান বহর বাড়ানোর ইচ্ছার কথা জানাই। তখন এয়ারবাস আমাদের চারটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিক্রির দ্বিতীয় প্রস্তাব পাঠায়। এই প্রস্তাব আগের প্রস্তাবের চেয়ে ভালো ছিল। সেই প্রস্তাব ইভ্যালুয়েশন কমিটি থেকে বিমানের বোর্ডে যায়। বোর্ড এ বিষয়ে এগোনোর নির্দেশনা দিয়ে নেগোসিয়েশন কমিটিতে পাঠিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন এয়ারবাসের অফারগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের বহরের সব বড় এয়ারক্রাফট বোয়িংয়ের (২১টির মধ্যে ১৬টি বোয়িং)। কিছু ডাইভার্সিটি, নতুন এয়ারক্রাফট থাকলে যাত্রীরাও পছন্দ করবে।’

তিনি বলেন, ‘যেকোনো সময় যেকোনো কোম্পানির এয়ারক্রাফট খারাপ পারফর্ম করতে পারে। তখন যেন রিস্কে না পড়ি সে কারণে ডাইভার্সিফাইয়ের কথা ভাবছি।’

বোয়িংয়ের প্লেন বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, ‘বোয়িংও আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটাও ইভ্যালুয়েট করব। বোয়িংয়ের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক। শুধু প্লেন কেনাবেচা সম্পর্ক না, তাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ভালো, ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ভালো। সবমিলিয়ে আমরা একসঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

তবে যে এয়ারক্রাফটই কিনি না কেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছি।

বিমান আসলে লাভে, নাকি ক্ষতিতে আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিমান গত ১০ বছরের ৮ বছরই লাভে ছিল। যে দুই বছর লস হয়েছে, তার মধ্যে একবছর করোনা ভাইরাসের আধিক্য ছিল। আরেকবার আমাদের মোটা অংকের পেমেন্ট পরিশোধ করতে হয়েছিল।’

শফিউল আজিম বলেন, ‘গত বছর ডলারের সমস্যা ছিল, বিশ্বে দু’টি যুদ্ধ চলমান, এর মধ্যেও আমরা লাভ করেছি। বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান দিয়ে অডিট করা হয়েছে আমাদের লাভের বিষয়ে। আমরা বিমানে নিয়মিত নিয়োগ দিচ্ছি, বেতন-বোনাস দিচ্ছি, প্রোফিট বোনাস দিচ্ছি। লাভ না হলে এসব টাকা কোথা থেকে আসছে?’

তিনি বলেন, ‘আমার সুপারিশ থাকবে, যারা বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিভাগে কাজ করছে সেখানে যেন বয়স বিবেচনা না করা হয়। কারণ টেকনিক্যাল ফিল্ডে বয়স যত বাড়ে অভিজ্ঞতা তত বাড়ে।’

মতবিনিময় সভায় এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার, সহ-সভাপতি রাজীব ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল কাউসার ইমনসহ সংগঠনটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, রোববার (২৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব দেওয়া হয় মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞাকে। পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে শফিউল আজিম পদোন্নতি পেয়ে ইসির নতুন সচিব হয়েছেন।

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

এয়ারবাস ভিন্নতা

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ল ৫ দোকান
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩৪

আরো

সম্পর্কিত খবর