রসের মিষ্টিতে মশা-মাছি-তেলাপোকা, জরিমানা ১২ লাখ টাকা
৩০ মে ২০১৮ ১৫:৩০ | আপডেট: ৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:৩৯
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও নোংরা পানি ব্যবহার করে মিষ্টি ও দই বানানো। মিষ্টিতে মশা-মাছি-তেলাপোকা পাওয়ায় ‘রস’ মিষ্টির কারখানাকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (৩০ মে) রাজধানীর ডেমরায় কাজলা এলাকায় রসের কারখানায় অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে র্যাব-১০ এর স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি শহিদুল ইসলাম মুন্সিসহ র্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্যদের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
অভিযান শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই বছর আগে এই কারখানাকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তখন সতর্ক করা হয়েছিল ভুল-ত্রুটিগুলো শুধরানোর জন্য। কিন্তু আজ এসে চিত্র আরও ভয়াবহ দেখা গেছে।’
তিনি আরও জানান, ‘ডালডা রাখার পাশের স্থানে জুতো ও ময়লা রাখা হয়েছে। ড্রামের মধ্যে নোংরা পানিতে ছানা ভিজিয়ে রাখা হয়েছে। মিষ্টির মধ্যে অসংখ্য মাছি ও মশা মরে আছে। তেলাপোকাও পাওয়া গেছে। মনে হচ্ছিল মিষ্টির চেয়ে মরা মাছি ও মশার সংখ্যাই বেশি। আগের চেয়ে কারখানার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। এবার ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ম্যানেজারসহ চারজনের ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া সতর্ক করা হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশগত দিক দিয়ে ঠিক না হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সয়াবিনে ভাজা লাচ্ছা সেমাই ঘিয়ে ভাজা নাম করে বিক্রি করা ক্রেতাদের সঙ্গে এক ধরণের প্রতারণার শামিল। এটা মারাত্বক অপরাধ। কারণ এক কেজি ঘিয়ে ভাজা সেমাই বিক্রি করছেন এনারা ৭০০ টাকা। কিন্ত এক কেজি সয়াবিনে ভাজা লাচ্ছা সেমাইয়ের দাম মাত্র ৮০ থেকে ১২০ টাকা।’
সরেজমিনে দেখা যায়, যেখানে ঘি তৈরির স্থানে অসংখ্য মশা-মাছি মরে পড়ে আছে। মেঝেতে দইয়ের বাটি রাখা হয়েছে। আশেপাশে প্রচুর ময়লা-আবর্জনা। প্রত্যেক রুমেই জুতা স্যান্ডেল নিয়ে প্রবেশ করছে কারিগররা। হাতে কোনো গ্লাবসও সেই।
গত ১২ বছর ধরে ইনজিনিয়ার রবিউল হাসনাত নামে এক ব্যক্তি রস মিষ্টির ব্যবসা শুরু করেন। পাশাপাশি ঘি, দই, নিমকি, সেমাই ও রসমালাই তৈরি করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা শহরে তাদের ২০টির মতো আউটলেট রয়েছে।
সারাবাংলা/ইউজে/একে/এমআই