হেলপার যেন ড্রাইভার না হয়: ওবায়দুল কাদের
৩০ মে ২০২৪ ১৫:১০
ঢাকা: দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সড়কে তদারকি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঈদপরবর্তী নজরদারি কমানোর কারণে সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, হেলপার যেন ড্রাইভার না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। হেলপার ড্রাইভার হলে তো দুর্ঘটনা হবেই।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর বিআরটিএ ভবনে ঈদুল আযহা উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সড়ক সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
ঈদ যাত্রা যানজটমুক্ত রাখতে ঢাকার প্রবেশপথসহ বিভিন্ন পয়েন্ট বাড়তি নজরদারি ও গাড়ি সরবরাহ পর্যাপ্ত রাখার কথা বলেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী। কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসা যায় ৩০/৪০ মিনিটে আর আর ঢাকায় হানিফ ফ্লাইওভার দেড় দুই ঘণ্টা বসে থাকতে হয় । গাড়ির চাপে স্থবির হয়ে থাকে হানিফ ফ্লাইওভার। নিচের দিকের কিছু কারণে এই সমস্যাটা। তবে জাতীয় স্বার্থেই এই সমস্যার সমাধান করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন সেতুমন্ত্রী।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে বাস মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া দিতে গিয়ে অনেক সাধারণ যাত্রীর কাছে অর্থ থাকে না। জনগণের স্বার্থে বাস মালিকদের অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধে কঠোরভাবে মনিটরং করার অনুরোধ করছি। বিআরটিসিও এই কাজটা করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদুল আযহায় সড়কে সড়কে পশুবাহী গাড়ির চাপ থাকে যা রোজার ঈদে থাকে না। পশুবাহী গাড়ি ও পশুরহাট নিয়ে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। গাজীপুরে বিআরটিএ প্রকল্পে আগে যানজট ছিল এখন নেই। ঈদযাত্রায় বিশেষ করে সমস্যা দেখা দেয় গার্মেন্টসে ছুটির দিনে। বিশেষভাবে চন্দ্রায়। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় হাটতে থাকে। গাড়ি প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকে। সেখানে বিআরটিসি গাড়ি রাখতে হবে। শ্রমিকদের বাড়ি যাওয়ার একটা অস্থিরতা থাকে। সেটা সামাল দিতে হবে প্রয়োজনীয় গাড়ি সরবরাহ করে।
হেলমেট ছাড়া কেউ যেন মোটরসাইকেল চালাতে না পারে সেজন্য বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশেষ করে যারা রাজনীতি করে তারা এটা মানতে চায় না। মন্ত্রী সাহেবের লোক অমুকের লোক বলে যেন পার না পায়। দুর্ঘটনাই সবচেয়ে বড় দুর্ভাবনা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পশুবাহী গাড়ি তো ধীর গতিতে চলবে। তবে গাড়ির যেন ফিটনেস থাকে। প্রথম কথা ফিটনেস। ঢাকা শহরের লক্করঝক্কর গাড়ি। রঙ দিয়ে কী করবেন। জীর্ণশীর্ণ চেহারার কতগুলো গাড়ি যেমন মালঞ্চ, প্রতিদিনই দেখি তাকানো যায় না। বাংলাদেশ এত এগিয়ে গেল আর বাসমালিকদের দৃষ্টিভঙ্গি এত নিচে নেমে গেল! পরিস্থিতির তেমন উন্নয়ন হয়নি—রাস্তায় এত ভিজিট করার পরও।
ঈদের সময় ঢাকা শহরে খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধের নির্দেশ দেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, বৃষ্টির সময় খোঁড়াখুঁড়িতে শহরে যানজট সৃষ্টি হয়। নির্মীয়মান রাস্তার কাজ অন্তত সাত দিন বন্ধ রাখতে হবে। নির্মীয়মাণ স্টেশন ঈদের আগে সাত দিন এবং পরে পাঁচ দিন সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নূরী, সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেনসহ সড়ক পরিবহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা।
সারাবাংলা/এনআর/ইআ