Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সলঙ্গা গণহত্যা সংঘটনের স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২ জুন ২০২৪ ১৪:০৭

ঢাকা: বৃটিশ শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় গণহত্যা সংঘটনের স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সলঙ্গা গণহত্যা সংঘটনের দিন ২৭ জানুয়ারিকে জাতীয় দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রোববার (২ জুন) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের ১১ জন আইনজীবী জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন। রিটে মন্ত্রীপরিষদ সচিব, সংস্কৃতি সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক এবং রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনকারী আইনজীবীরা হলেন মো. আসাদ উদ্দিন, মো. কাওসার আলী, মো. বদরুদ্দোজা বাবু, মো. গোলাম হাসনায়েন, মো. হারুনর রশিদ, মো. গোলাম কিবরিয়া, রোকসানা সুলতানা, জহিরুল হক কিসলু, ব্যারিস্টার মো. আব্দুল বাতেন শেখ, মো. হেকাম আলী শিমুল এবং মো. মোরশেদুল ইসলাম।

পরে আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন বলেন, ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি ছিল সলঙ্গা হাটের দিন। সেদিন যুবক আব্দুর রশিদের (যিনি বাংলাদেশ গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ‘মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ’ নামে পরিচিত) নেতৃত্বে সলঙ্গা হাটে চলতে থাকে বৃটিশ পণ্য বর্জনের প্রচারাভিযান। ‘বিলেতি পণ্য বর্জন কর, এদেশ থেকে বৃটিশ হটাও’- শ্লোগানে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচারাভিযান যখন তুঙ্গে, তখন কংগ্রেস অফিস থেকে আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সেদিন সলঙ্গায় নৃশংসতার এক রক্তাক্ত অধ্যায় রচিত হয়। সরকারি হিসাবে এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা দেখানো হয় সাড়ে ৪ হাজার। কিন্তু বেসরকারি তথ্যমতে এ সংখ্যা ১০ সহস্রাধিক বলে জানা যায়।

ইতোমধ্যে সলঙ্গা বিদ্রোহের বয়স ১০০ বছর পেরিয়ে গেছে। এত বছর পরও দিবসটি জাতীয় দিবস হিসাবে ঘোষণা এবং একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। জাতি হিসাবে এটি আমাদের জন্য ব্যর্থতা ও লজ্জার বটে। তাই একজন সলঙ্গাবাসী এবং সচেতন নাগরিক হিসাবে বিষয়টি অত্যন্ত যৌক্তিক এবং গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এ রিটটি দায়ের করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

টপ নিউজ সলঙ্গা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর