Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ২০ জেলায় ক্ষতি ৭ হাজার কোটি টাকা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২ জুন ২০২৪ ১৪:৩৮

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলের ২০ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ২০ জেলার ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। রোববার (২ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমালের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০টি জেলার হিসাব পেয়েছি। ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘গত ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে। এর প্রভাবে উপকূলীয় বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে এসব এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। এছাড়াও ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। বেশকিছু রাস্তাঘাট, বেরিবাঁধ, ঘরবাড়ি, ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগপূর্ব কার্যক্রম পরিচালনা করেছি এখন দুর্যোগ পরবর্তী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার পরের দিন আমি ব্যক্তিগতভাবে উপকূলীয় জেলার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে স্থানীয় লোকজনের খোঁজখবর নিয়েছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১৯টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ত্রাণ কার্যে নগদ পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো- খাদ্যের জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্য কেনার জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের, বিভাগ, দপ্তর-সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক নেতাসহ আওয়ামী লীগের এবং এর অংঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দুর্গতদের পাশে দাড়িয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খুলনার কয়রা, ভোলার চরফ্যাশন এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী পরিদর্শন করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ ও জরুরি সেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করেছি।’

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৩০ জুন প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় রেমাল এলাকা পরিদর্শনের জন্য পটুয়াখালীর কলাপাড়া পরিদর্শন করেন এবং ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিরতণ করেন। সরকারের সকল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক ক্ষয়-ক্ষতি পরিমাপ ও করণীয় নিয়ে আজ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।’

তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের সাহায্যার্থে সিলেট জেলায় ২০ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ, ৫০০ মে. টন চাল, ১০ লক্ষ টাকার গো-খাদ্য এবং ১০ লক্ষ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় ১৫ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ, ৫ লক্ষ টাকার গো-খাদ্য এবং ৫ লক্ষ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। একইভাবে দিনাজপুর জেলায় ১৫ লক্ষ টাকার নগদ অর্থ এবং ৩ লক্ষ টাকার শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সবকিছু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতর সংস্থা তাদের আওতাধীন বিষয়াদির ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাপ করে তা পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার অথবা মেরামতের উদ্দোগ নেবেন।’

সারাবাংলা/জেআর/এমও

ঘূর্ণিঝড় রেমাল ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী রেমাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর