গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
২ জুন ২০২৪ ২০:০৯
ঢাকা: রাজধানীর মধ্যবাড্ডা ডিআইটি রোডের বাসায় জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ শান্তা আক্তার (২৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রোববার (২ জুন) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউ’তে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় সোলাইমান (৩০) নামে এক হোটেল কর্মচারী ঘটনাস্থলে মারা যান।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দগ্ধ শান্তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল সোয়া ৬টার দিকে ডিআইটি ৪ নম্বর রোড খোকন দারোগার তিনতলা বাড়ির নিচতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে সোলাইমানের লাশ উদ্ধার করে এবং দগ্ধ শান্তাকে হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনার দিন ফায়ার সার্ভিসের বারিধারা স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬:৪৩ মিনিটে খবর পেয়ে বারিধারার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাসাটির নিচতলায় বিকট বিস্ফোরণ হয়েছে। সেই বাড়িটির সামনে রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় সোলাইমান নামে ওই যুবকের লাশ।
ধারণা করা হচ্ছে, নিচ তলার বাসার রান্নাঘরে তিতাস গ্যাসের লাইনের পাইপ থেকে লিক হয়ে গ্যাস জমে ছিল অথবা বাসার সামনে সুয়ারেজ লাইন থেকে বিষাক্ত গ্যাস ওই বাসায় জমে ছিল। সেখান থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেতে ঘটে থাকতে পারে।
দগ্ধ শান্তার স্বামী মো. নাসির হাওলাদার জানান, বাড়িটি নিচতলায় ভাড়া বাসায় থাকেন তারা স্বামী স্ত্রী। শান্তা স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন আর নাসির মাছের আড়তে কাজ করেন। রাতে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠেই কাজে চলে যান নাসির। তখনও ঘুমিয়ে ছিলেন শান্তা। এরপর কিছুক্ষণ পর তিনি খবর পান, তাদের বাসায় বিকট বিস্ফোরণ হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি দৌড়ে বাসায় গিয়ে দেখেন বাসার সামনে দগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন শান্তা। তার শরীর পুড়ে গেছে। তাকে ভিড় করে লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। তখন তিনি সঙ্গে সঙ্গে শান্তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, ‘গত বুধবার রাতে তিনি যখন বাসায় যান এরপরে বাসায় গ্যাসের গন্ধ পান। গন্ধটি তাদের বাসার রান্নাঘরের থেকেও বের হতে পারে অথবা বাসার সামনে রাস্তা খুড়ে যেই কাজ চলছিলো সেখান থেকেও গ্যাস বের হয়ে থাকতে পারে।’
মৃত শান্তা আক্তার কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচড় উপজেলার নাগিতেরচড় গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে।
সারাবাংলা/এসএসআর/একে