Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মালদ্বীপ-নেপাল-শ্রীলঙ্কা পারলে আমরা পারব না কেন?

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২ জুন ২০২৪ ২০:৪৩

রাজশাহী: ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ভারতের ৫২৭টি খাদ্যপণ্য স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক ও ঝুঁকিপূর্ণ। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এ সংবাদ প্রকাশের পর ইউরোপ-আমেরিকা ভারতীয় পণ্য বর্জন করেছে। সম্প্রতি মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাও ভারতীয় পণ্য বয়কট করেছে। তারা সবাই ভারতের পণ্য বর্জন করতে পারলে আমরা পারব না কেন?

রোববার (২ জুন) বিকেলে রাজশাহী মহানগরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে তারা এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণে অংশ নেন জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল মালেক চৌধুরী, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম, বাংলাদেশ এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব চাষী এনামুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম প্রমুখ।

এ সময় নেতারা বলেন, আধিপত্যবাদ, গণতন্ত্র হত্যা, বাংলাদেশের ওপর সীমাহীন আগ্রাসন, শোষণ, সীমান্তে হত্যা, ২৬ লাখ ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি, ৫৪টি অভিন্ন নদীতে বাঁধ নির্মাণ, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ, একদলীয় শাসন পাকাপোক্ত করায় ভূমিকা রাখা এবং দেশকে একটি করদ রাজ্যে পরিণত করার প্রতিবাদে বাংলাদেশের মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।

বিজ্ঞাপন

তারা বলেন, আমরা বিশ্ব সংবাদ মাধ্যম দেখেছি ভারতের দু’টি ওষুধে ক্যানসারের উপাদান পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুর, হংকং সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

নেতারা বলেন, গত ১৬ বছরে সীমান্তে ১২০০ বেশি নিরীহ নাগরিককে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ফেলানীর লাশ যখন সীমান্তে ঝুলে থাকে তখন মনে হয় সমগ্র বাংলাদেশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে আছে।

ভারতের উদ্দেশে তারা বলেন, যদি বন্ধু হও, যদি আমাদের প্রতিবেশী হও, তাহলে সীমান্তে অহরহ গুলি কেন? তাই আজকে বাংলার জনগণ তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে। তবে, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, যে বন্ধু আমাদের ফারাক্কা, তিস্তা, টি-পাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেবে না, সে কি বন্ধু হতে পারে? কোনোদিনও বন্ধু হতে পারে না। বন্ধুত্ব করতে চাইলে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে, সীমান্তহত্যা বন্ধ করতে হবে।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

১২ দলীয় জোট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর