Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আ.লীগের একজন লোকও মারা যাবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ জুন ২০২৪ ১৬:১৭

ঢাকা: বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের একজন লোকও মারা যাবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

সোমবার (৩ জুন) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেনের মুক্তির দাবিতে এ মানবন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা বলে থাকেন- বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এক দিনে দুই লাখ লোক মারা যাবে। আমি বলছি- বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের একজন লোকও মারা যাবে না। কারণ, বিএনপি খুন- হামলার রাজনীতি করে না। কেউ যদি অপরাধ করে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে।’

গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, ‘দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন সরকার জ্বালানি তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজী। এ সবের প্রভাব পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের ওপর। মানুষের কী কষ্ট! আর এই সরকার অর্থের অপচয় করে একেক সময় একেকটা ঘটনা ঘটায়।’

তিনি বলেন, ‘একবার আওয়ামী লীগ ভারতে পালিয়েছিল, আবারও পালাবে। দেশের মানুষ কিছু না বললেও পালাবে। কথায় আছে, বনের বাঘে না খেলেও মনের বাঘে খায়।’

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন ‘১৬ বছর ধরে কষ্ট করছেন, হয়তো আর কিছু দিন কষ্ট করতে হবে। এই আন্দোলন সফল হওয়া মানে গণতন্ত্র ফেরত পাওয়া, বাংলাদেশকে ফিরে পাওয়া। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে এখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয় না। এখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে পুলিশ ও কিছু এজেন্সি। এটা কি তাদের কাজ? এদের কাজ কি গুমে সহযোগিতা করা, দাগী আসামীকে সীমান্ত পার করে দেওয়া? অবশ্যই নয়।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আপনারা জানেন ২০১৫ সালে আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদকে উত্তরা থেকে র‌্যাব গ্রেফতার করেছিল। তখন র‌্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন বেনজীর আহমেদ। সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হল ঢাকার উত্তরা থেকে। আবিষ্কার করা হল ভারতের শিলংয়ে।’

তিনি বলেন, ‘কবি ফরহাদ মজাহার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাকে ঢাকা থেকে তুলে নেওয়া হল। যারা নিলেন তাদের চ্যালেঞ্জ করে পুলিশ খুলনা থেকে ফিরিয়ে আনলেন। অর্থাৎ ফরহাদ মজহার আরেকটি দেশে নেওয়া চেষ্টা ছিল। মুক্তির পর ফরহাদ মজাহার কথা বললেন না, বোবা হয়ে গেলেন। কারণ কী? তবে, সব কথা বলা যায় না, বোঝা যায়।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য বেনজীরকে চিঠি দিয়েছে দুদক। কিন্তু তিনি দেশে নেই। চলে গেছেন। পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং ইমিগ্রেশনে যারা আছেন তারা অন্ধ, নাকি বোবা? না পড়া-শোনা যানে না? সব পত্রপত্রিকায় তো বেনজীরের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এখন খবরের কাগজ খুললে বেনজীর ও ভারতে খুন হওয়া সংসদ সদস্য আনারের খবর।’

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কথা বলতে বলতে তিনি এমন পর্যায়ে গেছেন, সুস্থ নাকি অসুস্থ বোঝা যাচ্ছে না। চালাক মানুষ মনে করে তিনি ছাড়া অন্য কেউ কিছু বোঝে না; ওবায়দুল কাদেরও তাই ভাবেন।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভালো নেই। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা! সরকার একটি ঘটনার পর আরেকটি ঘটনাকে সামনে আনে। এই শেখ হাসিনা একেকটি ঘটনা ঘটিয়ে নাটক সৃষ্টি করে। আজিজ, বেনজীর, আনার জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র নেওয়ার চেষ্টা। তাদের দুর্বলতা ঢাকার জন্য। এই নিয়ে যদি আমরা ব্যস্ত থাকি, তাহলে কপালে হাত দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি পাভেল শিকদারের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, রফিকুল আলম মজনু, নবীউল্লাহ নবী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর