১০০টি স্মার্ট ডাস্টবিন স্থাপন করছে ডিএনসিসি
৩ জুন ২০২৪ ১৭:৫১
ঢাকা: চুরি ঠেকাতে ১০০টি স্মার্ট ডাস্টবিন স্থাপন করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ( ডিএনসিসি)। স্মার্ট এই ডাস্টবিনে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি অ্যালার্ম সেট করা আছে। ডাস্টবিনের কোনো অংশ কেউ খুলে ফেললে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যালার্মটি বেজে উঠবে।
সোমবার (৩ জুন) গুলশান-২ নগর ভবনের সামনে ডিএনসিসি এলাকায় ১০০টি স্মার্ট ডাস্টবিন স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মেয়র সবাইকে যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলার আহ্বান জানান।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন দীর্ঘদিন ধরে আমার সঙ্গে পরিচ্ছন্ন শহর গড়ায় কাজ করছে। মিরপুর প্যারিস খাল, মোহাম্মদপুর রামচন্দ্রপুর খালের ময়লা পরিষ্কারে অংশ নিয়েছে। জানতে পেরেছি বিডি ক্লিন আট বছর শেষে ৫৮টি জেলা টিম আর ১৫৭টি উপজেলা টিমের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা ৪৬ হাজারের বেশি। পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম করে এত বড় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশে আর নেই। বিডি ক্লিন দেশকে ভালোবেসে, শহরকে ভালোবেসে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম করে যাচ্ছে।’
মেয়র এ সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নিজেকে বাদ দিয়ে দেশের চিন্তা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনও চিন্তা করেননি আমার, উনি চিন্তা করেছেন আমাদের। তাই আমরা আজ বাংলাদেশ পেয়েছি, লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর একটি বাসাও নেই। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, আমার বাসা লাগবে না। আমার বাসা আছে গোপালগঞ্জে। এমন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি- এটা আমাদের ও দেশের ভাগ্য।’
মেয়র বলেন, ‘শহরকে, দেশকে ভালোবাসলে কেউ যেখানে সেখানে ময়লা ফেলতে পারে না। সবাই শুধু নিজেকে নিয়ে চিন্তা করছে, দখল-দূষণ করছে। আমরা খাল থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে প্রদর্শনী করেছি। জানাতে চেয়েছি মানুষ নির্বিচারে কি ধরনের বর্জ্য ফেলছে। লেপ, তোশক, চেয়ার, টেবিল, কমোডসহ এমন কিছু নেই খালে ও ড্রেনে পাওয়া যাচ্ছে না। সবাইকে আহ্বান করছি দয়া করে কেউ খালে, ড্রেনে ময়লা ফেলবেন না। নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলবেন।’
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র স্মার্ট ডাস্টবিন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, গুলশান সোসাইটির সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত, বিডি ক্লিনের প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ উদ্দিন।
সারাবাংলা/আরএফ/পিটিএম