Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিপইয়ার্ড থেকে গায়েব ৭ কোটি টাকার জাহাজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩ জুন ২০২৪ ১৮:০৯

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার নয়ানগর গ্রামের মেঘনার তীরের থ্রি-অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ড থেকে গায়েব হয়ে গেছে মেরামত করতে দেওয়া ৭ কোটি দামের একটি জাহাজ। এতে ওই শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জাহাজটি সরিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ৩০ মে গজারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ইলেকট্রিক লিমিটেডের কর্মকর্তা মহিউদ্দিন। এ বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে দুইপক্ষই।

লিখিত অভিযোগে মালিকানা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মহিউদ্দিন জানান, তিনি বেঙ্গল ইলেকট্রিক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোত্তাকিন সালামের ব্যক্তিগত সহকারী। ২০২৩ সালের ২৩ মে বেঙ্গল ইলেকট্রিক লিমিটেডের মালিকাধীন টেকনাফ নামক অয়েল ট্যাংকার জাহাজটি মেরামতের জন্য থ্রি অ্যাঙ্গেল শিপ ইয়ার্ডে নিয়ে যান প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. আবুল রশিদ ও মো. থ্রি অ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আমিনুল ইসলাম, পরিচালক এমএ রহমান আনসার, পরিচালক শেখ মাহমুদ হাসান, জিএম অপারেশন মোজাম্মেল হক, ব্যবস্থাপক বেলাল হোসেন, হিসাব রক্ষক হুমায়ন কবির, ফোরম্যান আলামিন। ফোরম্যান ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর ও ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি তাদের প্রতিষ্ঠানের স্টাফ রবিউল হক ওরফে রফিকের মাধ্যমে মেরামতের বিল পাঠান। পরে তারা মেরামতের বিল পেয়ে বিল পরিশোধ করে জাহাজটি আনার জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক সঞ্জয় কুমার সাহা এবং ব্যবস্থাপক প্রশাসন খালেকুজ্জামান রায়হানকে চলতি বছরের ২৯ মে থ্রি অ্যাঙ্গেল শিপ ইয়ার্ডে পাঠান। তারা শিপ ইয়ার্ডে গিয়ে জাহাজ দেখতে না পেয়ে শিপ ইয়ার্ড শ্রমিকদের জাহাজের কথা বললে তারা বলে জাহাজটি কয়েকদিন পূর্বে শিপ ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ সরিয়ে ফেলেছে। এ কথা শুনে তাদের কর্মকর্তারা শিপ ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান জাহাজ কোথায়?

জানা যায়, ২০১৮ সালের নভেম্বরে স্ক্রাব হিসেবে সাতটি জাহাজ মেসার্স মাল্টিপল ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। সেখান থেকে টি. টেকনাফ নামে পুরোনো একটি অয়েল ট্যাঙ্কার মেরামতের উদ্দেশে প্রায় এক বছর আগে গজারিয়া উপজেলার নয়ানগর এলাকার থ্রি-অ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের শিপইয়ার্ডে নিয়ে আসেন মিলন হাজি, আলাউদ্দিন ও রফিক নামে তিন ব্যবসায়ী। জাহাজটির মেরামত এবং দীর্ঘ প্রায় এক বছরের বার্থিং চার্জ বাবদ মোট ৩০ লাখ টাকা বিল আসে। পাওনা টাকা দিতে বারংবার তাগাদা দিলেও তারা তা দিতে টালবাহানা শুরু করে। এর মধ্যে গত ১৯ মে সকাল থেকে জাহাজটি শিপইয়ার্ড এলাকায় দেখতে না পেয়ে বিষয়টি জাহাজটির মালিকপক্ষকে জানায় শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি সম্পর্কে থ্রি-অ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মোজাম্মেল হক বলেন, জাহাজটি মেরামত করার পর আমাদের শিপইয়ার্ডের এক পাশে মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল। মেরামত এবং বার্থিং চার্জ বাবদ ৩০ লাখ টাকা বিল আসে। আমরা বিল পরিশোধ করার জন্য একাধিক বার নোটিশ দিয়েছিলাম কিন্তু তারা তা পরিশোধ করেনি। এর মধ্যে গত ১৯ মে সকাল থেকে আমরা জাহাজটি শিপইয়ার্ড এলাকায় না দেখতে পেয়ে জাহাজটির মালিকপক্ষকে জানাই। আমাদের ধারণা পাওনা টাকা পরিশোধ না করার জন্য পরিকল্পিতভাবে তারাই জাহাজটি সরিয়ে ফেলেছে। দীর্ঘ আট-নয় দিন চার দিকে খোঁজাখুঁজি করে আমরা জাহাজটির হদিস না পেয়ে ২৯ মে থানায় লিখিত অভিযোগ করি।

গজারিয়া থানার ওসি রাজীব খান জানান, দু পক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/একে

জাহাজ উধাও টপ নিউজ মুন্সীগঞ্জের জাহাজ শিপইয়ার্ড


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

৯০০তম গোলে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৪

সম্পর্কিত খবর