আজীম হত্যার ঘটনায় ১০ আসামির ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেওয়ার নির্দেশ
৩ জুন ২০২৪ ২১:২৮
ঢাকা: ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশে অপহরণের মামলায় গ্রেফতার তিন আসামি ও পলাতক সাতজনসহ দশ আসামির ব্যাংক হিসাবের তথ্য সরবরাহের আদেশ দিয়েছেন আদালত। হেড অব বাংলাদেশ এফআইইউকে (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) এ তথ্য সরবরাহ করতে বলেছেন আদালত।
সোমবার (৩ জুন) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
১০ আসামি হলেন আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন, শিমুল ভুঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজি, তাজ মোহাম্মদ খান, চেলসি চেরি ও জামাল হোসেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান এ আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অজ্ঞাত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্ত ও গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা ভুক্তভোগীকে কলকাতার নিউটাউন এলাকার ভাড়া বাসায় নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তারা প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশে ভুক্তভোগীর মরদেহের হাড় ও মাংস আলাদা করে মাংসপিণ্ড টয়লেটের কমোডে ফেলে দেয় এবং হাড়গুলো গারবেজ-পলিতে ভরে ট্টলি ব্যাগে করে আশপাশের খালে ফেলে দেয়।
আবেদনে আরও বলা হয়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে এমপি আজীমকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিল। তারা পরিকল্পনা করে, মামলার ভুক্তভোগীকে কীভাবে অপহরণ করে টাকা আদায় করবে এবং টাকা নেওয়ার পর কীভাবে হত্যা তথা লাশ গুম করবে। গ্রেফতার করা আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বর্ণনা পাওয়া গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামিদের নাম- ঠিকানা সংগ্রহ তথা মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বর্তমানে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ আসামির এনআইডি ও পাসপোর্ট নাম্বারের বিপরীতে কোন ব্যাংকে কত টাকা অ্যাকাউন্ট আছে, তার তথ্য সরবরাহ করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বরাবর আদেশ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যার উদ্দেশে অপহরণের অভিযোগে আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন মামলাটি দায়ের করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে