গোপালভোগে জমেছে আমের হাট, দাম চড়া
৪ জুন ২০২৪ ১০:০৭
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে কেনাবেচা শুরু হয়েছে গোপালভোগ আম। তবে গত মৌসুমের তুলনায় এবার আমের দাম বেশি বলে জানাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। গত মৌসুমের তুলনায় এবার গোপালভোগ আমের দাম উঠেছে দ্বিগুণ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মৌসুমে গুটি জাতের পরে এই প্রথম সুস্বাদু গোপালভোগ আম বাজারে উঠেছে। জেলার পুরাতন বাজার এলাকায় গোপালভোগ কেনাবেচা শুরু হয়েছে। এই বাজারে প্রকারভেদে প্রতিমণ গোপালভোগ আম বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৮০০ থেকে তিন হাজার ২০০ টাকায়।
পুরাতন বাজারের আম ব্যাবসায়ী আবু জার গিফারি বলেন, গোপালভোগ বাজারে এসেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এই বছর দাম তুলনামূলক বেশি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গত বছর যে বাগানে আম হয়েছিল ১৪০০ মণ সেই বাগানে এইবার আম হয়েছে ৮০ মণ মতো। তাই গত বছর যে গোপালভোগ আম ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি সেই আম এইবার ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকায় বিক্রি করছি।
আম ব্যাবসায়ী মিলন বলেন, এই বছর আমের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমার বাগানে গত বছর ৩৫০ মণ মতো গোপালভোগ আম হয়েছিল। এইবার ১৫০ মণ মতো হয়েছে। তবে আম কম হলেও দাম ভালো পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
পুরাতন বাজারের আরেক আম ব্যাবসায়ী লাল মিয়া বলেন, এই বছর আম খুবই কম হয়েছে। সে কারণে আমের দাম বেশি। গত বছর গোপালভোগ আম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা মণে গোপালভোগ আম বিক্রি করেছি। এই বছরে সেই আম বিক্রি করছি ২৫০০ থেকে ৩২০০ টাকায়। দাম বেশির কারণে মানুষ কিনতে পারছে না, বাজারে ক্রেতার পরিমাণ কম। আজকে সারাদিনে ১৫ মণ মতো বিক্রি করেছি।
চাকরির সুবাদে দীর্ঘদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে আছেন নুর মোহাম্মদ। পুরাতন বাজারে এসেছেন মৌসুমের প্রথম আম কিনতে। তিনি জানান, গত বারের তুলনায় আমের দাম অনেক বেশি।
পুরাতন বাজার আম আড়তদার আশরাফুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বরাবরই সুমিষ্ট ও সুস্বাদু। গত বছরের তুলনায় এই বছর আমের খুব সংকট। সীমিত পরিমাণে আম বাজারে আসছে। এই সময় আমের বাজারে প্রচুর ভীড় থাকে তবে আমের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে যাওয়ার কারণে ক্রেতার পরিমাণ কম।
পুরাতন বাজার আম ইজারাদার জনি বলেন, বাজারে এখন সীমিত পরিসরে গোপালভোগ আম আসছে। এই গোপালভোগ আম আরোও দুই তিন মতো বাজারে পাওয়া যাবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ক্ষিতসাপাতসহ আরোও আম বাজারে আসবে। গত বছরের তুলনায় এই বছর গোপালভোগ আমের দাম দ্বিগুন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, বৈরি আবহাওয়ার কারণে এইবার ম্যাংগো ক্যালেন্ডার ঘোষণা করেনি জেলা প্রসাশন। আম পরিপক্ক হলেই বাজারজাত করতে পারবেন আম চাষিরা। এছাড়া এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টন। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/এনইউ