Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাল স্ট্যাম্প: সিএন্ডএফ কর্মচারিসহ গ্রেফতার ২

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ জুন ২০২৪ ১৮:০১

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরীতে প্রায় ১৫ হাজার জাল রেভিনিউ ও কোর্ট ফি স্ট্যাম্পসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

সোমবার (৩ জুন) রাতে নগরীর আগ্রাবাদ ও আদালত ভবন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর) শামীম কবির জানিয়েছেন।

গ্রেফতার দুজন হলেন- আমিরুল ইসলাম টিটু (৩৫) ও আব্দুল মোনাফ (৩৩)। এদের মধ্যে মধ্য টিটু একটি সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি আর মোনাফ চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় স্ট্যাম্প বিক্রি করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাল স্ট্যাম্প বিক্রির গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর আগ্রাবাদে একটি বাণিজ্যিক ভবন থেকে টিটুকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছে ৫০০ টাকা সমমূল্যের দুই হাজার জাল স্ট্যাম্প পাওয়া যায়। টিটুর দেয়া তথ্যে গোয়েন্দা পুলিশ চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে আইনজীবীদের দোয়েল ভবনের নিচতলার একটি দোকান থেকে মোনাফকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে বিভিন্ন দামের ১৩ হাজার ৫১০টি জাল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি উদ্ধার করা হয়।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি-বন্দর শামীম কবির সারাবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের ট্রেজারি বিভাগ থেকে নির্দিষ্ট মূল্যে রেভিনিউ স্ট্যাম্পগুলো কিনে দোকানিরা সাধারণ গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করেন। ৫০০ টাকার স্ট্যাম্পগুলো সাধারণত কাস্টমসের নথিতে ব্যবহার হয়। আদালতের নথিপত্রসহ সরকারি অন্যান্য কাজে এর চেয়ে কম মূল্যের স্ট্যাম্পগুলো ব্যবহার হয়।

সাধারণ প্রেসে মুদ্রিত জাল রেভিনিউ ও কোর্ট ফি স্ট্যাম্পগুলো টিটু ও মোনাফ পরস্পরের যোগসাজশে সংগ্রহ করে সাধারণ গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে আসছিলেন। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত হয়।

শামীম কবির বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে দুজন জানিয়েছে, যে স্ট্যাম্পগুলো ট্রেজারি বিভাগ থেকে কিনতে প্রতি পাতায় দোকানিদের ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়, সেখানে এ স্ট্যাম্পের পাতাগুলো তারা ৫-৭ হাজার টাকায় ঢাকা থেকে সংগ্রহ করতেন। মোনাফ দীর্ঘসময় ধরে জাল স্ট্যাম্প বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে আগের একটি মামলা বিচারাধীন আছে।’

গ্রেফতার দুজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাদের আদালতে হাজিরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এডিসি শামীম কবির।

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর