‘দেশে ন্যায় বিচার থাকলে সরকারের টপ-টু-বটম কারাগারে থাকত’
৪ জুন ২০২৪ ২২:৪০
ঢাকা: দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার ব্যবস্থা থাকলে সরকারের টপ টু বটম কারাগারে থাকতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রকে অস্বীকার করে ডামি সরকার রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামী করণের মাধ্যমে জনগণকে ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী ফ্যাসিজমের ছায়া—উপছায় দেশের ওপর বিস্তারলাভ করেছে। আওয়ামী লীগ কখনোই ইতিবাচক রাজনীতি করে নি। খুন, রক্তপাত, সহিংসতা, দখল, টাকা পাচার আর অনর্গল মিথ্যা কথা বলাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি। কীসের আইনি প্রক্রিয়া? আওয়ামী ও গোপালগঞ্জ প্রক্রিয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।’
‘আজিজ, বেনজীর আমাদের লোক নয়। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কেউ দুর্নীতিবাজ নয়’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, ‘শীর্ষ নেতারা দুর্নীতিবাজ না হলে মাঝারি নেতারা তাহলে দুর্নীতিবাজ। আপনি (ওবায়দুল কাদের) কি ডানে-বামে তাকিয়ে কথা বলছেন, নাকি স্বভাবসূলভ ডাহা মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন। বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বেনজীর যখন বন্দুকের ভাষায় কথা বলতেন, তখন তো তাকে অস্বীকার করেন নি। বেনজীর-আজিজদের দুর্নীতির দায় আপনারা এড়াতে পারবেন না। তাদের দায় আপনাদের নিতেই হবে, এ সরকারকে নিতেই হবে।’
রিজভী বলেন, ‘অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকার অসৎ অভিপ্রায়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিনাশ করার জন্য সরকার বেনজীর-আজিজদের ব্যবহার করার পাশাপাশি দলীয়করণ করে ফেলেছে বিচার বিভাগকে। যে বিচারালয় ছিল মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, সেই বিচারাঙ্গনকে পরিণত করা হয়েছে বিরোধীদের জন্য আতঙ্কপুরীতে।’
তিনি বলেন, ‘শরীয়তপুর-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন অপু গত প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে কারারুদ্ধ। গুরুতর অসুস্থ অপুর জীবন হুমকির মুখে। সাজানো মামলায় কারাগারে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তাকে। যেসব মামলায় অপুকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, তার কোনোটিই প্রমাণ করতে পারেননি আদালত। অপুর মামলায় জামিনের শুনানির তারিখও দিচ্ছেন না আদালত। এভাবে দীর্ঘদিন কারাগারে আটক রেখে জামিন না দেওয়া মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা মীর শরাফত আলী সপু, সেলিমুজ্জামান সেলিম, তারিকুল আলম তেনজিং, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এনইউ