বাজেট ২০২৪-২৫: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নিয়েই সংশয়
৫ জুন ২০২৪ ১৮:১২
ঢাকা: আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্যই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। এই মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে গতানুগতিক ও উচ্চাভিলাসী লক্ষ্য থেকে সরে আসছে সরকার। বাস্তবতা বিবেচনা করে প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশের মধ্যে বেঁধে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হতে পারে।
এক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় ৫.৫ শতাংশ লক্ষ্য নির্ধারণ করলে সেটি অর্জন অসম্ভব হবে। তবে সংশ্লিষ্টদের ধারণা বৈদেশিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ডলার সংকটের কারণে বাস্তবভিত্তিক লক্ষ্যও অর্জন করা নিয়ে সংশয় আছে।
সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দেশের মূল্যস্ফীতি শুধু অভ্যন্তরীণ কারণে নয়। বেশিরভাগই বৈশ্বিক কারণেই। তাই এটার নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই আন্তর্জাতিক আর্থিক গতি প্রকৃতির উপর নির্ভর করবে। এরপরও বাজেটে বেশ কিছু উদ্যোগ থাকবে বলে শুনেছি। এগুলোও অনেকটা সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তবে বাস্তবভিত্তিক লক্ষ্য নির্ধারণ করাটা অত্যন্ত যৌক্তিক।’
সূত্র জানায়, সরকারের মধ্যমেয়াদী অর্থনৈতিক কাঠামো অনুযায়ী আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরার কথা ৫.৫ শতাংশ। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনা করে ৬.৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হতে পারে। যেটি ওই কাঠামো অনুযায়ী ১ শতাংশ বেশি।
এদিকে চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ছিল ৬ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবতা ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের উপরে। এমন বাস্তবতায় পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য বাড়িয়ে ধরা হয় ৮ শতাংশ। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেটে লক্ষ্য নির্ধারণ করছে সরকার।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সূত্র জানায়, গত মে মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাড়িয়েছে ৯.৮৯ শতাংশে, যা এপ্রিলে ছিল ৯.৭৪ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৭৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ১০.২২ শতাংশ। খাদ্য বর্হিভূর্ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.১৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯.৩৪ শতাংশ।
এদিকে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৯৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯.৯২ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৭৩ শতাংশে, যা তার আগে মাসে ছিল ১০.২৫ শতাংশ। খাদ্য বর্হিভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৩১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯.৬০ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৭২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯.৪৬ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৮৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ১০.১৯ শতাংশ। খাদ্য বর্হিভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৯.০৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯.০১ শতাংশ।
সারাবাংলা/জেজে/এমও