নিউইয়র্কের ‘বিপদজনক’ পিচ নিয়ে সমালোচনার ঝড়
৬ জুন ২০২৪ ১৪:৩৭
বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই এই পিচ নিয়ে ছিল নানা জল্পনা কল্পনা। মাত্র পাঁচ মাসে তৈরি হওয়া নিউইয়র্কের এই স্টেডিয়ামের ড্রপ ইন পিচ কেমন আচরণ করবে, সেটা ছিল বড় প্রশ্ন। বিশ্বকাপে এই ভেন্যুতে হওয়া দুই ম্যাচ পরেই নাসাউ গ্রাউন্ডের আউটফিল্ড ও পিচ নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই বলছেন, এরকম বিপদজনক ও বাজে উইকেটে বিশ্বকাপের মত টুর্নামেন্ট আয়োজন করা উচিত না।
নিউইয়র্কের পিচে বিশ্বকাপের মূল পর্বের প্রথম ম্যাচ হয়েছে শ্রীলংকা ও দক্ষিণ আফ্রিকার মাঝে। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৭৭ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও সুবিধা করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ম্যাচজুড়ে আচমকা বাউন্স, হঠাৎ নিচু হয়ে আসা বল কিংবা বাজে আউটফিল্ড; সবকিছু মিলিয়ে দুই দলের ক্রিকেটারদের বেশ হ্যাপা পোহাতে হয়েছে।
একই মাঠে গতকাল ভারত-আয়ারল্যান্ড ম্যাচেও দেখা গেছে একই চিত্র। ব্যাটিংয়ে নেমে একদমই থিতু হতে পারেনি আইরিশরা। মাত্র ৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতও স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে ব্যাট করতে পারেনি। ম্যাচের পর ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাও পিচ নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
সাবেক জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটার অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার এই পিচকে বিপদজনকই বলছেন, ‘এটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য আদর্শ উইকেট নয়। এটা বিপদজনক পিচ। মাঝে মাঝে বল লাফাচ্ছে, কখনো নিচু হয়ে যাচ্ছে। এমন জায়গা থেকে বল লাফাচ্ছে যেটা ব্যাটারের গায়ে আঘাত করছে। হেলমেট পরেও ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।’
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে আইরিশ কোচ হেনরিক মালানও পিচ নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন, ‘খেলার সময় আপনি ভালো উইকেট আশা করবেন। কিন্তু এখানে একাধিক ম্যাচে ভালো পিচ ছিল না। আশা করি সামনের ম্যাচগুলোতে ভালো পিচ পাব।’
সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন বলছেন, এমন পিচে খেলা হলে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ আয়োজনের লক্ষ্যটা সফল হবে না, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার ভালো একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটা করতে গিয়ে এমন নিম্নমানের পিচে খেলতে হবে, সেটা মানা যায় না।’
আগামী ৯ জুন নিউইয়র্কেই হবে ভারত-পাকিস্তান হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। সেই ম্যাচে পিচ কেমন আচরণ করে, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন সবাই।
সারাবাংলা/এফএম