কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ঢাবিতে শিক্ষার্থী সমাবেশ
৬ জুন ২০২৪ ১৯:২৯
ঢাকা: সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল সংক্রান্ত রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। পরে গ্রন্থাগারে পাঠরত শিক্ষার্থীদের আহ্বান করা হলে তারাও বেরিয়ে আসেন। বেলা সাড়ে ৫টার দিকে গ্রন্থাগারের সিংহভাগ আসনই ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে, গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে যান আন্দোলনকারীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সকল কোটা বাতিল হোক, যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হোক’, ‘কোটা নয় মেধা চাই’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’সহ কোটা বাতিলের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
শহিদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় এবং রাজপথে দুই ভাবেই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীরা জানান, লাখ লাখ বেকারের দেশে অযোগ্যদের অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে আরও বেকার বাড়ানোর কৌশল তৈরি করা হয়েছে।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘২০১৮ সালের রাবার বুলেটের ক্ষত এখনো শুকায়নি। ২০১৮ সালে কার্জন হলে টিয়ারশেল খেয়েছিলাম, সেই জ্বলন এখনো শুকায়নি। আমাদের ক্যাম্পাসে ২০১৮ সালে পুলিশ যেভাবে আমাদের নির্যাতন করেছে সেই ভয়াল অভিজ্ঞতা এখনো ভুলিনি। ২০১৮ সালে কোটা বাতিল, সেটা ছিল সারাবাংলার ছাত্র সমাজের গণজোয়ারের ফলাফল।’
তিনি বলেন, ‘কোটা পুনর্বহাল বাতিল করার জন্য আমাদের ফের রাস্তায় নামতে হবে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যে জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, সেটা ছিল বৈষম্য নিরসনের জন্য যুদ্ধ। অত্যন্ত দুঃখজনক, যারা আজ কোটার জন্য আন্দোলন করছে তারা নিজদের কোটাধারী মেধাবী দাবি করছে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার (৫ জুন) সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকছে।
সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম