বাজেট বিষয়ে যা বললেন চট্টগ্রামের আ.লীগ-বিএনপি নেতারা
৬ জুন ২০২৪ ২২:১১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: জাতীয় সংসদে ঘোষিত ২০২৪- ২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
যথারীতি সরকারি দল আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম নগর কমিটির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বাজেটকে বাস্তবমুখী হিসেবে উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছেন। অন্যদিকে নগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন অসম প্রস্তাবনার কথা উল্লেখ করে এ বাজেট মুখ থুবড়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটের আকার প্রায় আট লাখ কোটি টাকা হলেও মোটেও তা উচ্চাভিলাসী নয়। বরং বিদ্যমান বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাস্তবমুখী একটি অর্থনৈতিক প্রস্তাবনা। এবারের বাজেট প্রণয়নে সরকারকে নানামুখী চাপ মোকাবিলা করতে হয়েছে। একদিকে আইএমএফ’র পরামর্শ, অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতির চাপ।’
‘এ পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় এবং নানামুখী বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করে মুদ্রাস্ফ্রীতি নিয়ন্ত্রণকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণের বাস্তবমুখী পদক্ষেপ বাজেটে নেওয়া হয়েছে। ধনীদের আয়ের ওপর কর আরোপ সম্প্রসারণ এবং সংসদ সদস্যদের বিনাশুল্কে গাড়ি আমদানির পরিবর্তে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি অন্যতম ইতিবাচক দিক।’
আওয়ামী লীগ নেতারা আরও বলেন, ‘চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলু সহ নিত্যপণ্যের বাজার দর নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে কর ছাড় ও শুল্কহার কমানোর প্রস্তাবনাও সাধারণ মানুষের জন্য শুভ বার্তা বয়ে আনবে।’
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট নজিরবিহীন লুটপাট ও কল্পনার অবাস্তবায়নযোগ্য বাজেট। এই বাজেটে দেশের চরম অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের কোনো দিকনির্দেশনা নেই। সাধারণ ও গরিব মানুষের জন্য কোনো সুখবর নেই। বাজেটে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। ক্ষমতার বলয়ের বাইরে সাধারণ মানুষের অনুকূলে এই বাজেট কোনো ভূমিকা রাখবে না। এটি গণবিরোধী বাজেট।’
‘৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার এই বাজেটে রাজস্ব ও অন্যান্য খাত থেকে মোট আয় ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হচ্ছে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণ এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। অনুদান ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।’
তিনি বলেন, ‘এর বাইরে মূল সমস্যা হচ্ছে আইএমএফ কর্তৃক ঋণ পেতে বিভিন্নমুখী চাপ এবং বিভিন্ন দেশি বিদেশি দেনা পরিশোধের চাপ। ঋণ ও ঘাটতিভিত্তিক বড় বাজেট অতীতে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি, আগামীতেও সম্ভব হবে না। একটি অনির্বাচিত সরকারের ওপর করদাতারা আস্থা রাখে না।’
সারাবাংলা/আরডি/একে