অফিস-আদালতে ই-সিগনেচার চালু করতে হাইকোর্টের রুল
৬ জুন ২০২৪ ২২:১৯
ঢাকা: দেশের সব অফিস-আদালতে ইলেকট্রনিক সই (ই-সিগনেচার) ব্যবহার নিশ্চিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ই-সিগনেচার বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা হলফনামা আকারে আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। মানবাধিকার সংস্থা ‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব)। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন, নাঈম সরদার ও ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।
এর আগে, গত ১ এপ্রিল দেশের সব অফিস আদালতে ই-সিগনেচার চালু করতে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। এরপর এ বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়।
মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব) বলেন, ‘অনেক সময় অনেকে সই করলেও পরে অস্বীকার করেন এবং তিনি প্রকৃতপক্ষে সই করেছিলেন কিনা তা কোর্টে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রমাণ করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট করে বা ই-মেইল দেওয়ার পর আইনি জটিলতা দেখা দিলে পরে অস্বীকার করেন। ই-সই চালু হলে স্বাক্ষর অস্বীকার করার সুযোগ থাকবে না। কারণ, ব্যক্তিগত আইডি থেকে সইটি করতে হবে।
এ সব দিক বিবেচনায় নিয়ে রিটটি দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত দেশের সব অফিস-আদালতে ইলেকট্রনিক সই (ই-সিগনেচার) ব্যবহার নিশ্চিতে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ই-সিগনেচার বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা হলফনামা আকারে আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম