ইবি রেজিস্ট্রারের ‘অবৈধ লেনদেন’, ইউজিসির তদন্তে ধীরগতি
৯ জুন ২০২৪ ০৮:৫৯
কুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) তদন্তের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। পরে ২০২৩ সালের পহেলা নভেম্বরে তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিশন। তবে কমিটি গঠনের ৭ মাস পর তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একইদিনে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিন তদন্ত পরিচালনা করে এরইমধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, তদন্তের স্বার্থে রোববার (৯ জুন) বেলা ১১টায় রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট আরও চারজনকে ইউজিসি ভবনের সভাকক্ষে তলব করেছে তদন্ত কমিটি। সেখানে উপস্থিত হয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষাৎকার দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্থাপিত অভিযোগ বিষয়ে প্রত্যেকের নিজস্ব বক্তব্য ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টস (যদি থাকে) সঙ্গে রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তলবকৃতরা হলেন- পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এবং মেগা প্রকল্পের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক এইচ এম আলী হাসান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দীন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী মো. তারেক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের এবং মেগা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. নওয়াব আলী খান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার রবিউল ইসলাম।
তিন সদসেদ্যর কমিটিতে ইউজিসির এস্টেট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও জেনারেল সার্ভিসেস এর পরিচালক জাফর আহমদ জাহাঙ্গীরকে আহ্বায়ক করা হয়। কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী খান ও সদস্য ছিলেন মৌলি আজাদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের মে মাসে ইবির রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে রূপালী ব্যাংক লিমিটেড কুষ্টিয়া শাখার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ফাইল আটকিয়ে, পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রের রেট কোড জানিয়ে দিয়ে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়। এ ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ গেলে তারা ইউজিসিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে পহেলা নভেম্বর এ অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করে ইউজিসি।
এ বিষয়ে জানতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। এদিকে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. নওয়াব আলী বলেন, ‘রেজিস্ট্রার দফতরে চিঠি এসেছে। আমাকে ফোন করে জানিয়েছিল। কিন্তু ইউজিসি কি বিষয়ে ডেকেছে তা আমি এই মূহুর্তে বলতে পারছি না।’
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক জাফর আহমদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ওইদিন তদন্ত কমিটির মিটিং আছে। এ জন্য তাদের ডাকা হয়েছে। তদন্ত কেবল শুরু হয়েছে ‘
সরেজমিন তদন্ত করা হবে কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘অবস্থা কোনদিকে যায়, না যায় দেখি। তারপর বোঝা যাবে কোথায় যেতে হবে?’
সারাবাংলা/একে