Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জেন্ডার বাজেটকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে মহিলা পরিষদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৯ জুন ২০২৪ ২১:০৮

ঢাকা: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জেন্ডার বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের পিছিয়ে পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি এর কারণগুলোও উল্লেখ করা প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। পাশাপাশি তারা এবারের জেন্ডার বাজেটকে ইতিবাচক হিসেবেও দেখছেন।

রোববার (৯ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ’র উদ্যোগে ‘নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগ: প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৪-২৫’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা জানায়।

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জেন্ডার বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় ছাত্রীদের পিছিয়ে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, স্কুলে স্যানিটেশন ও হাইজিন সমস্যা চিহ্নিত করে এগিয়ে যাওয়ার বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ করলেও অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। যা দূর করা একক কোনো মন্ত্রণালয়/বিভাগের কাজ নয়।

সংবাদ সম্মেলনে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরমিন্দ নিলোর্মী।

স্বাগত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠার দাবিতে প্রণীত জেন্ডার বাজেট কোনো আলাদা বাজেট নয়, বরং সামগ্রিক বাজেটের একটি। নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে জেন্ডার বাজেটের প্রভাব মূল্যায়নে এবারের বাজেটে সুশীল সমাজকে অর্ন্তভুক্ত করে একটি পরিবীক্ষণ কমিটি গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যা নারী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘এবারের জেন্ডার বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং দুর্নীতি দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

লিখিত বক্তব্যে শরমিন্দ নিলোর্মী বলেন, ‘এ বছরের জেন্ডার ফাইন্যান্স ট্রাকিং মডেলটি চারটি বিষয়: নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সমতা, সরকারি/সর্বজনীন পরিষেবাগুলোতে নারীদের কার্যকর প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করা এবং নারী উন্নয়নের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে জেন্ডারসংশ্লিষ্ট বাজেট বরাদ্দ ও ব্যায়ের ধারা উপস্থাপন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘চারটি থিমেটিক এরিয়াতে ২২টি সূচকের স্বপেক্ষে বাজেট ব্যয়ের অগ্রগতির প্রভাব দেখতে হবে। পাশাপাশি এই অর্থবছর শেষে আইএমইডি বা সরকারের কোনো স্বাধীন সংস্থার মাধ্যমে জেন্ডার বাজেট বরাদ্দ ও তার মূল কার্যকর ভূমিকাগুলোর একটি অ্যাসেসমেন্ট বাজেটে নির্ধারিত সূচকগুলোর মাধ্যমে করা সম্ভব হবে।’

মডারেটরের বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রস্তাবিত জেন্ডার বাজেটে করণীয় উত্থাপনের মাধ্যমে সরকার ও নারী আন্দোলনের অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে। এবং সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে জেন্ডার বাজেটের লক্ষ্যের সঙ্গে নারী আন্দোলনের লক্ষ্য সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে সামাজিক অগ্রগতি খুব অগ্রসর হবে না।’

সংবাদ-সম্মেলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক এবং সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তি।

সারাবাংলা/আরএফ/পিটিএম

ইতিবাচক জেন্ডার বাজেট মহিলা পরিষদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর