Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুসলিমবিহীন প্রথম মন্ত্রিসভা ভারতের, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ৫ জন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১১ জুন ২০২৪ ১০:৪৯

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর ৭১ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন ১০ জন দলিত ও ২৭ জন অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) নাগরিক। রয়েছেন ‘উচ্চ’ বর্ণের ২১ জন, অদিবাসী গোষ্ঠীর পাঁচজন এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি পাঁচজন। তবে সেখানে কোনো মুসলিম সদস্য নেই।

ভারতের স্বাধীনতার পর এবার প্রথম কোনো মুসলিম প্রতিনিধি ছাড়াই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। রোববার (৯ জুন) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। এতে সকল রাজ্য, শ্রেণী এবং বর্ণের প্রতিনিধিত্ব দেখা গেলেও, দেশটির প্রায় ২০ কোটি মুসলিম জনসংখ্যার কোনো প্রতিনিধি সেখানে নেই।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) পূর্ববর্তী মেয়াদে মুখতার আব্বাস নকভি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন একমাত্র মুসলিম মন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যসভায় তার মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২০২২ সালে পদত্যাগ করেন মুখতার। মেয়াদের বাকি সময় বিজেপির স্মৃতি ইরানি তার দায়িত্ব পালন করেন। এবার কোনো মুসলিম মন্ত্রী শপথ নেননি। এনডিএ থেকে অবশ্য কোনো মুসলিম সদস্য এবার লোকসভায় নির্বাচিত হননি।

মোদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাঁচজন মন্ত্রী হলেন— হরদীপ সিং পুরি শিখ, রবনীত সিং বিট্টু শিখ, জর্জ কুরিয়ান খ্রিস্টান, কিরেন রিজিজু বৌদ্ধ এবং রামদাস আঠাওয়ালে বৌদ্ধ। পুরী ও আঠাওয়ালে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য। রিজিজু অরুণাচল প্রদেশ থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হলেও বিট্টু পাঞ্জাব থেকে নির্বাচনে হেরেছিলেন। কেরালার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কুরিয়ান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর ৫৭ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩২ জন ছিলেন ‘উচ্চ বর্ণে’র, ১৩ জন ওবিসি, ছয়জন তফসিলি জাতি ও চারজন তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায় থেকে। পরে ২০২১ সালে মন্ত্রিপরিষদ সম্প্রসারিত করেন মোদি। এতে ২৭ জন ওবিসি, ১২ তফসিলি জাতি, ৮ জন তফসিলি উপজাতি এবং ৩০ জন ‘উচ্চ বর্ণে’র প্রতিনিধি ছিলেন।

এবার মোদির মন্ত্রিসভায় ‘উচ্চ বর্ণে’র প্রতিনিধিত্ব কমেছে। কারণ উত্তর প্রদেশে অনেক প্রভাবশালী ‘উচ্চ বর্ণে’র নেতা নির্বাচনে হেরে গেছেন। তাদের অনেকেই মন্ত্রী হতে পারতেন। আবার প্রভাবশালী নেতাদের পরাজয়ে মন্ত্রিসভায় তাদের প্রতিনিধিত্বও কমেছে।

দলিত, উপজাতীয় গোষ্ঠী

মোদির দ্বিতীয় মেয়াদে দলিত মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ান, থাওয়ার চাঁদ গেলট এবং বীরেন্দ্র কুমার। সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ক মন্ত্রী থাওয়ার চাঁদ গেলটের জায়গায় অবশ্য মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন বীরেন্দ্র কুমার। এবারও তিনি মোদির মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। তিনি মধ্যপ্রদেশ থেকে এ নিয়ে আটবার লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।

তিনি ছাড়াও পাসোয়ানের ছেলে এবং লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) নেতা চিরাগ পাসোয়ান এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতান রাম মাঞ্জি নতুন দলিত মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন।

রাজস্থানের অর্জুন রাম মেঘওয়াল গতবার ছিলেন আইনমন্ত্রী। এবার তাকে মন্ত্রিসভায় স্বাধীন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে রাখা হয়েছে। এছাড়া, আঠওয়ালে, এসপি সিং বাঘেল, এল মুরুগান এবং কমলেশ পাসওয়ান প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন।

২০১৯-২৪ মেয়াদের মন্ত্রিসভার মতো এবার উপজাতীয় গোষ্ঠীর পাঁচজন মন্ত্রী হয়েছেন। উড়িষ্যার জুয়াল ওরাম যিনি অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায়ও কাজ করেছিলেন তিনি এবার মন্ত্রী হয়েছেন। আদিবাসী গোষ্ঠীর অন্যান্য মন্ত্রীরা হলেন সর্বানন্দ সোনোয়াল, সাবিত্রী ঠাকুর এবং দুর্গা দাস উইকে।

বিহার ও বর্ণের ভারসাম্য

এবার বিহারে এনডিএ জোটের ৩০ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। গতবারের মন্ত্রিসভায় বিহার থেকে পাঁচজন মন্ত্রী ছিলেন। এবার এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে আটজন। এর মধ্যে ছয়জনই নতুন মুখ। আটজনের মধ্যে তিনজন ওবিসি, তিনজন ‘উচ্চ বর্ণের’ এবং দুজন দলিত।

বিহার বিজেপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। মিত্র জনতা দলের (ইউনাইটেড) এনডিএ জোটের অন্যতম অংশীদার। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন হবে এই রাজ্যে। নতুন কেন্দ্রীয় সরকারে দুইজন ‘উচ্চ বর্ণের’ ভূমিহার সম্প্রদায়ের মন্ত্রী স্থান পেয়েছেন। তারা হলেন লল্লান সিং ও গিরিরাজ সিং। বিহারে ভূমিহাররা প্রভাবশালী বর্ণ গোষ্ঠী। রাজ্যসভার সদস্য সতীশ চন্দ্র দুবে মোদির তৃতীয় মন্ত্রিসভায় ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আগের মেয়াদে বিহার থেকে ব্রাহ্মণ মন্ত্রী ছিলেন অশ্বিনী চৌবে।

অত্যন্ত অনগ্রসর সম্প্রদায় থেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কার্পুরী ঠাকুরের ছেলে রাম নাথ ঠাকুর। এ ছাড়াও মল্লা সম্প্রদায়ের রাজ ভূষণ নিষাদ রয়েছেন মোদির নতুন মন্ত্রিসভায়। নিষাদ মুজাফফরপুর আসনে জয়ী হয়েছেন এবার। চিরাগ পাসওয়ান এবং জিতন রাম মাঞ্জি রাজ্য থেকে দলিত মন্ত্রী। নির্বাচনে রাজীব প্রতাপ রুডির জয় সত্ত্বেও রাজ্যের রাজপুত সম্প্রদায়ের কাউকে মন্ত্রিসভায় যোগ করা হয়নি। এবার কুশওয়াহার সম্প্রদায় থেকেও কোনো মন্ত্রী নেই।

নিশানায় বিধানসভা নির্বাচন

হরিয়ানায় এই বছরের শেষের দিকে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ভোট মাথায় রেখে বিজেপি আবারও আহির ওবিসি প্রভাবশালী নেতা রাও ইন্দ্রজিৎ সিংকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন গুর্জার সম্প্রদায়ের কৃষাণ পাল গুর্জার এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। এই মনোহর লাল খট্টর পাঞ্জাবি খত্রী সম্প্রদায়ের।

বিজেপি হরিয়ানা থেকে জাট সম্প্রদায়ের কাউকে এবার মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেনি। রাজ্যের ১০টি লোকসভা আসনের মধ্যে পাঁচটিতে দলের পরাজয় হয়েছে। বিজেপির উপর জাটদের অসন্তুষ্টির কারণেই পাঁচ আসনে বিজেপির প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন বলে ধারণা।

সেন্টার ফর স্টাডি অফ ডেভেলপিং সোসাইটিজ (সিএসডিএস) এর সমীক্ষা অনুযায়ী, এবার হরিয়ানায় বিজেপির ভোট কমেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে বিজেপি ভোট পেয়েছিল ৫৮ শতাংশ। এবার পেয়েছে ৪৬ শতাংশ। সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, জাট, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় এবং তফসিলি জাতিদের মধ্যে দলের ভোট উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

মহারাষ্ট্রে এ বছর বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এই দুই রাজ্যেই এবার বিজেপির ভোট কমেছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে এই রাজ্যে বিজেপি জিতেছিল ২৩টি আসন, এবার জিতেছে মাত্র ৯টি। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ছিল ৬২টি আসন, এবার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৩টিতে।

মহারাষ্ট্র থেকে অবশ্য নতুন এনডিএ সরকারে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মন্ত্রী রয়েছেন। নতুন সরকারে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীরা হলেন— নীতিন গড়কড়ি, পীযুষ গয়াল, রক্ষা খড়সে, প্রতাপ রাও যাদব, রামদাস আঠাওয়ালে ও মুরলিধর মহল। ২০১৯ সালের সরকারে এই রাজ্য থেকে আটজন মন্ত্রী ছিলেন। এবার বাদ পড়েছেন নারায়ণ রানে ও ভাগবত কারা।

বিজেপি অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (অজিত পাওয়ার) থেকে একজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রী পদ নিয়ে নির্বাচিত লোকসভা সদস্য সুনীল তাটকরে এবং প্রফুল প্যাটেলের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এ পথে আর এগোয়নি বিজেপি।

ঝাড়খণ্ড রাজ্যেও এবার বিজেপি ধাক্কা খেয়েছে। অর্জুন মুন্ডার মতো বিশিষ্ট আদিবাসী নেতা হেরে গেছেন। ঝাড়খণ্ডে আগামী ডিসেম্বরে বিধানসভা নির্বাচনের কথা রয়েছে। এই রাজ্য থেকে এবার উপজাতি মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

রাজ্যের নারী এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ভোটারদের লক্ষ্য করে বিজেপি যাদব সম্প্রদায়ের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীকে মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছে। বৈশ্য সম্প্রদায়ের রাঁচির লোকসভা সদস্য সঞ্জয় শেঠকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের এক বিজেপি নেতা বলেছেন, ‘ঝাড়খণ্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। অন্নপূর্ণা দেবীর প্রমোশন একটি বড় পাওয়া। তবে মন্ত্রিসভায় অন্তত একটি উপজাতীয় মুখ আনা দরকার।’

উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান

উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিশাল ধাক্কা খেয়েছে। তবে এতে মন্ত্রিপরিষদে রাজ্যের প্রতিনিধিত্বে বড় কোনো প্রভাব পড়েনি। ২০১৯ সালে উত্তর প্রদেশ থেকে ১০ জন মন্ত্রী হয়েছিলেন। এদের সাতজনই নির্বাচনে হেরে গেছেন এবার। রাজ্যটিতে বিজেপির আসন কমেছে ২৯টি। এবার রাজ্যের ৯ জন মন্ত্রীর মধ্যে চারজন অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের, তিনজন উচ্চবর্ণের এবং দুজন দলিত সম্প্রদায়ের।

এবার উত্তর প্রদেশ থেকে পাঁচ মন্ত্রীই পুরনো মুখ। তারা হলেন— রাজনাথ সিং, অনুপ্রিয়া প্যাটেল, বিএল ভার্মা, এসপি সিং বাঘেল ও পঙ্কজ চৌধুরী। চার মন্ত্রী নতুন। তাদের একজন জিতিন প্রসাদ, তিনি একজন ব্রাহ্মণ। তিনি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভারও সদস্য ছিলেন। এবার মূলত তিনি মোদির মন্ত্রিসভায় প্রত্যাবর্তন করেছেন।

আরেকজন জয়ন্ত চৌধুরী। তিনি জাট সম্প্রদায়ের নেতা। রাষ্ট্রীয় লোকদলের (আরএলডি) প্রধান এই নেতা তার বাবা অজিত সিংয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে মন্ত্রিসভায় প্রবেশ করেছেন। নতুন মন্ত্রী বাকি দুজন হলেন— রাজপুত সম্প্রদায়ের কীর্তি বর্ধন সিং ও দলিত কমলেশ পাসওয়ান। মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীও উত্তর প্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সদস্য।

অন্যদিকে রাজস্থানে এবার ১৩টি আসন খুইয়েছে বিজেপি। এই রাজ্য থেকে মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্বে এবার কিছু পরিবর্তন এসেছে। ভূপেন্দ্র যাদব, অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত মন্ত্রিসভায় তাদের জায়গা ধরে রেখেছেন। একমাত্র সংযোজন হলেন আজমীরের লোকসভা সদস্য ভগীরথ চৌধুরী। তিনি একজন জাট।

মধ্যপ্রদেশে এবার ভালো ফল করেছে বিজেপি। এই প্রদেশে ২৯টি আসন জিতেছে দলটি। এবার আগের মেয়াদের মতোই পাঁচজন মন্ত্রী হয়েছেন এই রাজ্য থেকে।

দক্ষিণ থেকে প্রতিনিধিত্ব

তেলেঙ্গানা থেকে লোকসভায় আটজন বিজেপি প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। দলটি ওই রাজ্য থেকে মন্ত্রিসভার জন্য দুই নেতাকে বেছে নিয়েছে। প্রভাবশালী কাপু সম্প্রদায় থেকে বান্দি সঞ্জয় কুমার এবং রেড্ডি সম্প্রদায় থেকে জি. কিষাণ রেড্ডি মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় ডাক পেয়েছেন।

কেরালায় এবার খাতা খুলেছে বিজেপি। এই রাজ্য থেকে মন্ত্রী হয়েছেন ত্রিশুরের লোকসভা সদস্য সুরেশ গোপী। এটা অনেকটা অনুমেয়ই ছিল। কিন্তু রাজ্য থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জর্জ কুরিয়ানকে মন্ত্রী করে চমক দিয়েছেন মোদি। ২০১৯ সালে মোদির মন্ত্রিসভায় একমাত্র খ্রিস্টান প্রতিনিধি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জন বার্লা।

অন্ধ্রপ্রদেশে বিজেপির মিত্র তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এনডিএ জোটের একটি বড় অংশীদার হয়ে উঠেছে এবার। মোদি সরকারে তেলেগু দেশম পার্টির তিনজন মন্ত্রী ডাক পেয়েছেন।

কর্ণাটক থেকে বিজেপি এইচডি কুমারস্বামীকে মন্ত্রী করেছে। এর মাধ্যমে প্রভাবশালী জাতিগোষ্ঠী লিঙ্গায়ত এবং ভোক্কালিগাদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছে বিজেপি। ভোক্কালিগা সম্প্রদায় থেকে কুমারস্বামী এবং শোভা করন্দলাজে এবং লিঙ্গায়ত গোষ্ঠী থেকে ভি. সোমান্না মন্ত্রী হয়েছেন।

সারাবাংলা/আইই

অনগ্রসর জনগোষ্ঠী উচ্চ বর্ণ ওবিসি তফসিলি জাতি দলিত ধর্মীয় সংখ্যালঘু নরেন্দ্র মোদি বিজেপি ভারত সরকার ভারতের মন্ত্রিসভা মুসলিম প্রতিনিধিত্ব মোদির মন্ত্রিসভা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর