ঢাকা দক্ষিণ সিটি ঈদের বর্জ্য সরাবে ২৪ ঘণ্টায়: মেয়র তাপস
১২ জুন ২০২৪ ১৬:৩৩
ঢাকা: ঈদ-উল-আজহায় পশু কোরবানির সব বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি (ডিএসসিসি) করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মেয়র বলেন, গতবছরের মতো এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ঈদের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে, সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারিত হবে। পরের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে সেটাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারিত হবে। আর যেহেতু চাঁদরাত থেকে হাটে পশুর সংখ্যা, হাটের পরিধি ও বিক্রি কমে যায় তাই চাঁদরাতের মধ্যরাত থেকেই আমরা হাটের বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করব।
বুধবার (১২ জুন) জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদ-উল-আযহার প্রধান জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।
এসময় বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতিতে আগের চাইতে বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছেন বলেও জানান মেয়র।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আগে কোরবানির হাট ও কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত যান-যন্ত্রপাতিতে আমাদের কিছু দুর্বলতা ছিল। কিন্তু এবার আমরা পূর্ণভাবে সক্ষম। কারণ, বর্জ্য অপসারণের জন্য আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ইতোমধ্যে ১০ টন সক্ষমতার ২৫টি ড্রাম্প ট্রাক ও ১০টি পে-লোডার কিনেছি। আরও ১৫টি ড্রাম্প ট্রাক কেনা হচ্ছে। তাই আমরা আশাবাদী, গতবার ঢাকাবাসীকে যে সুবিধা দিতে পেরেছি, যেভাবে বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করতে পেরেছি, এবার তার চেয়েও আরো সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব।
এবার কোরবানির হাট ও কোরবানি উপলক্ষ্যে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে আলাদা আলাদা কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শেখ তাপস বলেন, আমরা আশাবাদী যে, স্বাচ্ছন্দ্যেই পশুর হাটগুলো পরিচালিত হবে এবং সবাই সেখান থেকে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারবেন। কারো কোনো বিড়ম্বনা হবে না। এবার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পাশাপাশি প্রতিটি হাটেও আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তাই, কোথাও যদি কোনরকম কোনো বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়, আমাদের হাটের কিংবা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অবগত করলে আমরা অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেব। এছাড়াও আমরা প্রতিবছরই আগের বছরের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করি। সে আলোকে আমাদের কর্মপরিকল্পনা ঢেলে সাজাই। সে প্রেক্ষিতে এবার আমরা হাটের জন্য আলাদা জনবল, কর্মকর্তা ও যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত করেছি।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ