‘নারীর আয়ে ১০ শতাংশের বেশি কর হওয়া উচিত নয়’
১২ জুন ২০২৪ ২১:০৫
ঢাকা: নারীদের আয়ে ১০ শতাংশের বেশি কর হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী। নারীদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রীতি এমন মন্তব্য করেছেন। এ সময় তিনি দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতেও বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান।
প্রীতি চক্রবর্তী বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনীতির মূল স্রোতে নিয়ে আসতে হলে তাদের মোট আয়ের ১০ শতাংশের বেশি আয়কর নেওয়া ঠিক হবে না। বেশি কর নেওয়া হলে নারীরা বিনিয়োগে নিরৎসাহিত হতে পারেন। করের বোঝা না চাপিয়ে বরং নারীদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে।
বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক প্রীতি আরও বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য রাজস্ব খাতে সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ করা প্রয়োজন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ বিতরণে সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে। নারীর করমুক্ত আয়ের সীমা চার লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ছয় লাখ টাকায় উন্নীত করার দাবিও করা হয়েছে উইমেন চেম্বারের পক্ষ থেকে। প্রস্তাবিত বাজেটে আমাদের দাবির প্রতিফলন দেখা যায়নি। আশা করি বাজেট পাস হওয়ার সময় আমাদের দাবির প্রতিফলন দেখা যাবে।
সামাজিক নিরাপত্তা ও নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা বাড়ানোর দাবিও জানান প্রীতি। বলেন, বাজেটে সবসময় তিনটি খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে স্বাস্থ্য খাতের মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়। অন্যদিকে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের পুষ্টি ও খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে বাড়াতে হবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা। আর তৃতীয়ত, দেশে কর্মসংস্থান তৈরিতে নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে হবে। এ জন্যই নারীদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন।
প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিশেষ শুল্কছাড়ে চিকিৎসাযন্ত্র ও সরঞ্জাম আমদানির সুযোগ পেত বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো। এবার এসব হাসপাতালে ব্যবহৃত চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানির শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত স্পাইনাল নিডলের নতুন এইচএস কোড তৈরি করে এতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে চিকিৎসা ব্যয় বাড়বে জানিয়ে খাতসংশ্লিষ্টরা বাড়তি এসব শুল্ক আরোপের সমালোচনা করেছেন।
স্বাস্থ্য খাতের উদ্যেক্তা প্রীতি চক্রবর্তী বলেন, ‘স্বাস্থ্য সেবায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় রোগ নির্ণয় ও ওষুধে। দেশে সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নানা সংকট থাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীদের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ওপর নির্ভর করতে হয়। বর্তমানে ৬০ শতাংশে বেশি মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নেন। সুতরাং এটি সহজেই অনুমান করা যায়, চিকিৎসা ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবায় বৈষম্য বাড়বে। তাই বাজেটে স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব দিতে হবে।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর
উইমেন চেম্বার উইমেন চেম্বার অব কমার্স এফবিসিসিআই নারীর আয় প্রীতি চক্রবর্তী