ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে শক্তি সঞ্চয় করে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘গতকাল জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা ২১শে আগস্টের বোমা হামলার মামলায় তারেক রহমানসহ ১৫ জন পলাতক রয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেছেন, এখন নাকি তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাবেন। বোমা হামলায় তারেক রহমানসহ বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে ফরমায়েশি রায়ে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, সেটি যে সাজানো মামলায় ফরমায়েশি সাজা, তা আজ সর্বজনবিদিত। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে কব্জায় নিয়ে এই সাজা যে প্রতিহিংসা পূরণের সাজা সেটি আজ বিশ্ব গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অহেতুক ক্রোধ ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। ভারত থেকে তিনি শক্তি সঞ্চয় করে এসেছেন। তিনি এখন যে শ্লাঘা বোধ করছেন তার মধ্যে সঞ্চিত আছে ভারতের আশ্রয়। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসামূলক বক্তব্যে কানফাটানো আওয়াজে প্রায়শই শোনা যায়। যখন তিনি সম্পূর্ণরূপে দিশেহারা হয়ে পড়েন তখনই তার ক্রোধ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।’
রিজভী বলেন, ‘বেনজীর কাণ্ড, জেনারেল আজিজ কাণ্ড, লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার কাণ্ড, অস্বাভাবিক ঋণখেলাপি কাণ্ড, মন্দ ঋণে ব্যাংক ধ্বসে যাওয়া কাণ্ডে পৃষ্ঠপোষক আপনি। বর্তমান ডামি সরকারের ডামি বাজেটে সাধারণ করদাতা ও উদ্যোক্তাদের সুবিধা দেওয়া হয়নি। গরিবদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বরাদ্দ টাকা বৃদ্ধি করা হয়নি। সরকার লুটেরা ও টাকা পাচারকারীদের প্রতিনিধি।
সরকারের মুখ ঢাকতেই আবারও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিষোদগার শুরু করেছেন। ডিক্টেটর (স্বৈরশাসক) হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর হুকুম পৃথিবীর সর্বত্র তামিল হবে না জেনে মাঝে মাঝেই তিনি বিষাক্ত গরল উদগীরণ করেন।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতির কাঠামো ভেঙ্গে ফেলেছেন। তার নানা অঙ্গীকার আজও সূর্যের আলো দেখেনি। আইন বহির্ভূতভাবে ক্ষমতাঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। যারা একদিন নিঃস্ব, নিঃসম্বল ছিলেন তারা আজ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর সহযোগিতায় ঐরাবতে পরিণত হয়েছেন।
দেশে অস্থিরতার কুঝ্ব টিকায় এতটাই ঘন হয়ে উঠেছে, তিনি এখন সেগুলো সামাল দিতে না পেরে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হুমকি দিচ্ছেন।আমরা সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই, জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ক্রমাগত হুমকি কখনোই রাজনীতির ময়দান শান্ত, নিরাপদ ও সুখময় হয়ে উঠবে না।’
রিজভী বলেন, ‘দেশের জনগণ বাকশাল-২ এর অনন্ত শৃঙ্খল থেকে মুক্তির জন্য রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা করছেন। এই মুক্তির আদর্শই হচ্ছে গণতন্ত্র। আজ অগ্রদূত ও অগ্রগণ্য নেতা হিসেবে তারেক রহমান গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর এহেন মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ হুমকির নিন্দা জানাচ্ছি।’