Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যানজটে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, যাত্রী ভোগান্তি সীমাহীন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৪ জুন ২০২৪ ১৯:১২

ঢাকা: ঈদুল আজহা উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে মহাসড়কে নানা কারণে সৃষ্ট যানজটের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।

একদিকে বিভিন্ন স্থানে গরুর হাট ও একইসঙ্গে ঢাকা-কুমিল্লা মহাসড়কের চান্দিনায় বেতন-বোনাসের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করায় সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটের।

শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেলেও দাউদকান্দি টোল প্লাজা, চান্দিনা, মদনপুরসহ একাধিক স্থানে জ্যামে আটকে আছে গাড়ি।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা-কুমিল্লা রুটের এশিয়া এয়ারকন পরিবহনের চালক মো. হাবিব মিয়া সকাল ৫টা ৪০ মিনিটে ঢাকা আরামবাগ কাউন্টার থেকে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে তিনি কুমিল্লা পৌঁছান।

তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ঢাকা থেকে গাড়ি ছেড়ে আসার পরে মদনপুর, মোগড়াপাড়াসহ একাধিক স্থানে গাড়ির যানজট ছিল। চান্দিনার আগে প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তায় জ্যাম ছিল।

একই গাড়িতে থাকা মো. রাশেদুল ইসলাম নামে একজন যাত্রী জানান, সকালে রাস্তা ফাঁকা পাবো ভেবে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই। কিন্তু কুমিল্লা পৌঁছাতেই প্রায় নয় ঘণ্টা লাগে।

সকাল ৭টা বাজে আরামবাগ কাউন্টার থেকে ঢাকা-নোয়াখালী রুটের লালসবুজ পরিবহনে সপরিবারে ঈদ যাত্রা শুরু করেন মোহাইমেন চৌধুরী।

তিনি সারাবাংলাকে বলেন, দুপুর ২টা বেজে গেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত গাড়ি কুমিল্লায় হোটেল বিরতি যেখানে দেবে সেখানেও পৌঁছাতে পারিনি। গাড়িতে এসি থাকায় বাচ্চারা কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও খিদে লাগায় কান্না করছে। বাধ্য হয়ে এখন রাস্তা থেকে খাবার কিনতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যান্য রুটের একাধিক পরিবহনের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে রাস্তায় যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি থমকে থাকার বিষয়ে জানা গেছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স।

কুমিল্লা শিল্পপুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) এ কে এম জহিরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনার বেলাশ্বর এলাকায় অবরোধ করে শ্রমিকরা। সকাল থেকে আন্দোলনে নামেন তারা।

তিনি বলেন, প্রশাসনের আশ্বাসে মহাসড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শ্রমিকরা। প্রতিষ্ঠানটিতে আগামীকাল শনিবার (১৫ জুন) বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগের দিনই সড়কে নেমেছে শ্রমিকরা। আমরা দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছি। এর একটা সমাধান হয়েছে।

জহিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ঢাকামুখী লেনে যানজট নেই। সামান্য ধীরগতি আছে। চট্টগ্রামমুখী লেনে ধীরগতি রয়েছে। সেটিও ঘণ্টাখানেকের মধ্যে কেটে যাবে।

চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাবের মো. সোয়াইব জানান, আজকের মধ্যেই তাদের বেতন ও বোনাস নিশ্চিত করব আমরা। আমরা অনেক চেষ্টার পর শ্রমিকদের তা বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়েছি। চান্দিনা থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে।

সারাবাংলা/এসবি/এনইউ

ঈদযাত্রা ঢাকা-চট্টগ্রাম ভোগান্তি মহাসড়ক যানজট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর