পোশাকের দোকানে ভিড় নেই, গুরুত্ব টুপি-আতরে
১৫ জুন ২০২৪ ১৮:৫৪
ঢাকা: ঈদ মানেই নতুন জামা, নতুন জুতা। তবে এই কেনাকাটার চাপ ঈদুল ফিতরে যেভাবে দেখা যায়, সেভাবে ঈদুল আজহায় চোখে পড়ে না। তবে আতর-টুপির দোকানে ভিড় লেগে রয়েছে। দেশি-বিদেশি বাহারি সব আতর- টুপির পাশাপাশি কিনে নিচ্ছেন তসবি আর জায়নামাজ।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরের পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গুলিস্তানের খদ্দর মার্কেট, বায়তুল মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানগুলোয় ক্রেতার ভিড়। বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটের মাঝের রাস্তায় বসেছে টুপি ও জায়নামাজের দোকান। সেখানেও প্রচুর ক্রেতা সমাগম।
দোকানিরা বলছেন, গত ঈদের মতো এবার বেচাবিক্রি তেমন নেই। টুপি ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন বলেন, ‘রোজার ঈদে যেভাবে বেচাবিক্রি হয় সেভাবে কোরবানির ঈদে হয় না। তবুও অনেকে নতুন টুপি, নতুন জায়নামাজ তসবিহ কিনতে পছন্দ করেন আবার সামর্থ্য রয়েছে, কেবল তারাই কেনেন। সবার তো বারবার কেনার সামর্থ্য থাকেও না।’
জায়নামাজ বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অনেকে কিনে নিয়ে দান করেন। সে জন্য প্রতি ঈদেই কিনেন। তবে এবার বেচাকেনা একেবারেই কম। মানুষ গরু কেনায় ব্যস্ত।’
মুসলমানদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাইকারি ও খুচরা বিক্রির জন্য বিখ্যাত গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের খদ্দর মার্কেট। ভেতরে প্রবেশ করতেই নিচতলায় ‘টপ ইজি ইসলামিক আইটেম’ নামের এক আতর-টুপির দোকানের বিক্রেতা আনাস বলেন, ‘রোজার ঈদকে ঘিরে ব্যাপক বেচাবিক্রি থাকলেও এ ঈদে একদম কম বললেই চলে।’
দ্বিতীয় তলায় আরবিএস এন্টারপ্রাইজের দোকানদার সেলিম বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো রমজানকে কেন্দ্র করে মূলত আমরা নতুন নতুন আতর-টুপির বড় সংগ্রহ রাখি। যা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত চলে।’
গুলিস্তান খদ্দর মার্কেট ছাড়াও বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে টুপি-জায়নামাজ-আতর খুচরা বিক্রি হচ্ছে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানান, সারাবছর যা বিক্রি হয়, তার অর্ধেকের বেশি হয় ঈদে। কিন্তু এবার মার্কেট খোলা থাকলেও নেই সেরকম খদ্দের। এমন টুকটাক বিক্রি দিয়ে তো ঈদের সিজন চলে না। একই অবস্থা রাজধানীর নিউমার্কেট, ইস্টার্ন প্লাজা, ইস্টার্ন মল্লিকা, মৌচাক মার্কেট, কাকরাইল মসজিদ, কাঁটাবন, এলিফ্যান্ট রোডসহ বিভিন্ন এলাকার। এ সব এলাকার একাধিক টুপি-জায়নামাজ বিক্রেতা জানান, রোজার ঈদের আগে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করতেন তারা। কিন্তু কোরবানির ঈদে তেমন বেচাবিক্রি নেই।
এদিকে দেশের সব বড় বড় ব্রান্ডে ডিসকাউন্ট দিয়েও ক্রেতা পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।
সারাবাংলা/জেআর/একে