ঈদের কেনাকাটায় ৭০ শতাংশ ছাড়েও মিলছে না ক্রেতা
১৫ জুন ২০২৪ ২২:০০
ঢাকা: ঈদ মানেই নতুন পোশাক। যদিও এই নতুন পোশাকের উন্মত্ততা ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে যতটা দেখা যায়, ঈদুল আযহায় তেমন দেখা যায়না। তারপরেও দুই ঈদকে মাথায় রেখেই ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দেশের নামিদামি ব্র্যান্ডগুলো ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পোশাকে ছাড় দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও ক্রেতা টানতে পারছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার ঈদের মতো কোরবানীর ঈদে বেচাকেনা হয়না। তবে গত বছরের চেয়ে এবার বেচাকেনা যেন আরও কমেছে। তারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে পোশাক এখন মানুষের ফ্যাশনের জায়গায় নেই, প্রয়োজনে কেনেন।
কোরবানির ঈদের বাকি মাত্র একদিন। উৎসবের আনন্দ একে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার চলছে প্রস্তুতি। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে গরু, ছাগল আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও পোশাকের দোকানেও বেচাকেনা বেশ থাকে। এবার সে তুলনায় ফ্যাশন হাউজ-বিপণিবিতানে নেই ভিড়।
শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর বেইলী রোড, ওয়ারি, মৌচাক, বসুন্ধরা সিটির মতো শপিংগুলোর চিত্র ছিল একেবারেই ভিন্ন। ঈদ বাদে সাধারণ দিনগুলোতেও মোটামুটি ক্রেতা দর্শনার্থী পরিপূর্ণ দেখা যায়। এবার গিয়ে দেখা গেল ঈদের আগে যেভাবে ক্রেতা থাকার কথা সেভাবে নেই।
বিক্রেতারা বলছেন, এর চেয়ে বেশি ক্রেতা অন্য সময়ে দেখা যায়। এদিকে ঈদের সময়ে ক্রেতা টানতে মূল্যছাড়সহ নানান সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে দোকানগুলোতে। কিছু কিছু ফ্যাশন হাউজ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে। এরপরও শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দোকানগুলোতে ক্রেতার দেখা তেমন মেলেনি।
দেশীয় ব্রান্ড সারা’র কর্মী মাকসুদুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরে সব পন্যের ওপরে ৩০ থেকে ৭০% পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। তারপরেও ওভাবে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।’
এদিকে ডিসকাউন্ট দিয়েছে দেশীয় ব্রান্ড’ রাইস”, টুয়েলভ’, আর্টিসান, ইনফিনিটি, কে ক্রাফট, বাংলার মেলা, গাওগেরাম, রঙ, ভোগ বাই প্রিন্স, ইনস্টাইল, জেমস গ্যালারি, অম্বরের মতো নতুন ব্রান্ডগুলোও। কিন্তু সেভাবে ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে পারেনি।
বেইলি রোডে ক্রা ক্রাফট শোরুমের কর্মী নাফিজা বলেন, ‘সব পণ্যে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্ট চলছে এক সপ্তাহ ধরে। এই পরিমাণ ডিসকাউন্ট রোজার ঈদে দিলে তিন দিনেই শোরুম ফাঁকা হয়ে যেত। এদিকে আর্টিসানেও সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে নতুন পুরনো সব পণ্যে। এখানেও ক্রেতা সমাগম কম দেখা গেছে।’
এদিকে মৌচাক মার্কেটে কাপড়ের দোকানে ভিড় না দেখা গেলেও গয়নাগাটির দোকানে বেশ ভিড় লেগে ছিল। ভিড় ছিল জুতার দোকানেও। এদিকে রাজধানী সুপার মার্কেটে তুলনামুলক বেচাকেনা ভালো ছিল বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
এদিকে পোশাকের দোকানের পাশাপাশি বিউটি পার্লারগুলোতেও বেশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। গত ঈদের মতো এবারের ঈদেও ৬০% পর্যন্ত ছাড় দিয়েছে বায়োজিন।
সারাবাংলা/জেআর/একে