‘কোরবানির বর্জ্য সরাতে কাজ করবে ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী’
১৫ জুন ২০২৪ ২২:২৯
ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ বছর ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ডিএনসিসির সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবার ১০ হাজারেরও বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত থাকবে। মাঠে থাকে ডিএনসিসির সব কাউন্সিলর, কর্মকর্তা এবং আমি। কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিংয়ের স্থাপন করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এ ছাড়াও ওয়ার্ডভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে হট লাইন নম্বর। সেই নম্বরে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবে।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বছিলা কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন। এদিন তিনি পশুর হাট পরিদর্শন করেন এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ডিজিটাল লেনদেনের জন্য নির্মিত বুথ পরিদর্শন করেন মেয়র আতিক।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসির স্মার্ট পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা নিরাপদ লেনদেনের সুবিধা পাচ্ছেন। এ বছর ছয়টি হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ক্রেতারা ক্যাশ লেনদেন না করে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারছেন। বিক্রেতা বা খামারিরাও গরু বিক্রির টাকা বহন না করে হাটেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারছেন। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে তাৎক্ষণিক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগও রয়েছে।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘কোরবানির পশুর হাটে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সবধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে কোরবানির পশুর হাটগুলো মনিটরিংয়ের জন্য একটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম কোরবানির হাটগুলো মনিটরিং করছে। প্রধান সড়ক বন্ধ করে হাট বসালে এই তদারকি টিম ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘ঈদের দিন দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে। রাত ৮টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে। পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য এবার আর ইজারাদারদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন থেকেই আমরা দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করব।’
বৃক্ষরোপণে পশুর হাটের গোবর ব্যবহার করা হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসি থেকে ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু করেছি। কোরবানির পশুর হাটের গোবরগুলো সংগ্রহ করে বৃক্ষরোপণে ব্যবহার করা হবে।’
সাংবাদিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে একসাথে অন্তত ৫০০ গরু কোরবানির আয়োজন করা হয়েছে। যারা এখানে গরু কোরবানি দিতে আসবেন প্রত্যেক গরুর জন্য প্রণোদনা হিসেবে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও ৭নম্বর ওয়ার্ডে একটি স্থানে অন্তত ১০০ পশু কোরবানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
কোরবানির হাট পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, স্থানীয় কাউন্সিলর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/আরএফ/পিটিএম