ঈদযাত্রায় বাস কাউন্টারে আজও ভিড়, ট্রেন-লঞ্চে ঢিলেঢালা
১৬ জুন ২০২৪ ১৫:৪৬
ঢাকা: এবার ঈদের ছুটি শুরুর আগের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শেষ কর্মদিবসেই ঢাকা ছেড়েছে মানুষ। কিন্তু যারা ভীড় এড়িয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে চেয়েছেন তাদেরকে গত দুইদিনে ঢাকা ছাড়তে দেখা যায়। ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে ঈদের আগের দিন রোববারেও (১৬ জুন)। ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রীদের ভিড় না দেখা গেলেও শেষ মুহুর্তের ঈদযাত্রায় যেন ঢল নেমেছে সড়ক পথে। যাত্রীরা বলছেন, ভাড়া অতিরিক্ত নিলেও পছন্দমতো সিট পেয়েছেন।
রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর মহাখালী, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী বাস টার্মিনালগুলোতে সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের ভীড় চোখে পড়েছে।
যাত্রীরা বলছেন, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। তবে গাড়ি সেভাবে মিলছে না। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর মিলছে গাড়ি। তবে কষ্ট করে হলেও প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চান তারা।
যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে যাওয়া হানিফ বাসের যাত্রী মোজাম্মেল হক জানান, ব্যবসার কারণে ছুটি থাকা সত্ত্বেও পরিবারের সঙ্গে আরও আগে বাড়ি যেতে পারেননি। আজ শেষ মুহূর্তে বরিশালের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ২০০ টাকা বেশি নিচ্ছে হানিফ বাস কর্তৃপক্ষ।
বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ সরকারি গণপরিবহন বিআরটিসির বিরুদ্ধেও পাওয়া গেছে। খুলনা রুটে চলাচল করা বিআরটিসির যাত্রী জসিম উদ্দীন জানান, ৩০০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বাসের টিকিট কাটতে হলো। প্রায় প্রতিটি রুটের বাসই ভাড়া বেশি নিচ্ছে।
মিজার পরিবহণের কাউন্টারে থাকা দুলাল জানান, ঈদযাত্রায় অনেক খালি বাস নিয়ে ঢাকায় ফিরতে হয়। তাই সেই ক্ষতি খানিকটা পুষিয়ে নিতেই যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের বাস ছেড়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, বাসের সংখ্যা কম। কিন্তু যাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি। যাত্রীরা বলছেন, গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় দীর্ঘ সময় কাউন্টারে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এনা পরিবহনের কাউন্টারের কর্মী আজিজুল জানান, দূরপাল্লার যাত্রীর সংখ্যা কম। আজ যারা যাচ্ছেন তারা বেশিরভাগই কম দূরত্বের যাত্রী। তবে মহাসড়কে যানজটেরর কারণে সব গাড়ি একসঙ্গে ঢাকায় ঢুকতে পারছে না।
গাবতলী বাস টার্মিনালে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। তারা বলছেন, বাড়তি ভাড়া চাওয়ার কারণে কাউন্টারে দর কষাকষি করতে হচ্ছে। কোনো কোনো বাস কমাচ্ছেও।
এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশন ছিল একেবারেই ফাঁকা। সকাল থেকে যে সকল ট্রেন ছেড়ে গেছে সবগুলোতে যাত্রীভর্তি থাকলেও ঠাঁসা পরিস্থিতি ছিল না। ঢাকা রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. মাসউদ সারওয়ার সারাবাংলাকে বলেন, এবার কোনো ট্রেনে শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। বরং যাত্রীরা লেট করায় ট্রেন মিস করেছেন।
রাজধানীর সদরঘাট থেকে যে সকল লঞ্চ ছেড়ে গেছে সেসব অনেকটা ফাঁকা ছিল বলে জানিয়েছেন ঘাট সংশ্লিষ্টরা।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ