Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈদের দিনে ফাঁকা ঢাকা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৭ জুন ২০২৪ ১৮:০১

রাজধানীর শাহবাগ মোড়, যেখানে এমন যানবাহনশূন্য চিত্র কল্পনা করাও কঠিন। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাস্তার পিচ। নেই ধুলা-বালি। বাতাসও নির্মল। নেই মানুষের কোলাহল, গাড়ির হর্ন। যতদূর চোখ যায় কেবল ফাঁকা আর ফাঁকা। এই ফাঁকা সড়কেও অবশ্য দুয়েকজনের দেখা যে মিলল না, তা নয়। তাদের পরনে আবার নতুন পোশাক, চোখে-মুখে উৎসবের আবহ। সব মিলিয়ে রাজধানী ঢাকা যেন অন্য এক রূপে সেজেছে!

সোমবার (১৭ জুন) মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার দিন। ঈদ ঘিরে রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ মানুষ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করতে চলে গেছেন গ্রামের বাড়িতে। আর সে কারণেই ঢাকা এখন ফাঁকা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বাস তথা গণপরিবহণের দেখা খুব একটা মেলেনি। তবে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার উপস্থিতি দেখা গেছে ভালোই। দুয়েকটি গণপরিবহন থাকলেও যাত্রী নেই বললেই চলে।

কাকরাইল মোড়, যেখানে মানুষের আনাগোনো লেগেই থাকে প্রতিনিয়ত, সে জায়গাটিও ঈদের দিন ছিল সম্পূর্ণ ফাঁকা। ছবি: সারাবাংলা

রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলে গিয়ে দেখা গেল, গোটা এলাকা একেবারেই ফাঁকা। ট্রাফিক পুলিশ আর কিছু রিকশা ছাড়া কিছুই চোখে পড়েনি ওই এলাকায়। মতিঝিল থেকে কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, ধানমন্ডি, মিরপুর রোড, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, শ্যাওড়াপাড়া, মৌচাক, মালিবাগ, বিশ্বরোড, বাড্ডা, গুলশান, বনানীর প্রায় পুরোটা পথই দেখা গেল ফাঁকা। চিরচেনা যানজট দেখা যায়নি গুলিস্তানেও।

ফাঁকা হয়ে যাওয়া ঢাকার রাস্তায় চালকরা গাড়ি চালিয়ে স্বস্তি পাচ্ছেন। রিকশাচালক মনির হোসেন যেমন বললেন, ‘যাত্রী নাই, তারপরও একরকম শান্তি। সকালে ঈদের জামাতের পর কয়েকটা যাত্রী টানছি। এখন রেস্ট নিচ্ছি।’ সিএনজিচালক রাজ্জাক বলেন, ‘৩০ মিনিটে আসলাম উত্তরা থেকে। এটা তো ভাবাই যায় না।’

বিজ্ঞাপন

মতিঝিলে বেশ কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে থেকে দেখা গেল, হঠাৎ দুয়েকটা বাস আসছে। অন্যদিকে যাত্রীর সংখ্যাও নগণ্য। দিলকুশা মোড়ে যাত্রীর জন্য দাঁড়িয়ে থাকা বাস বিকল্প পরিবহণের চালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাত্রী নেই, তাই বসে আছি। ১০ জন হলেই টান দেবো।’

সড়কে গাড়ি থাক বা না থাক, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব থেকে মুক্তি নেই। ছবি: সারাবাংলা

রাজধানীর কমলাপুর রোববার পর্যন্ত কোরবানির পশুর হাট এবং হাটে আগত ক্রেতা ও ঘরমুখো মানুষের চলাচলে ছিল মুখরিত। তবে রাত পোহানোর সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্য শতভাগ পালটে গেছে। নেই ব্যাপারিদের হাঁকডাক, নেই ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার তাড়া। কয়েকটি রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া সড়কে দেখা যায়নি তেমন কোনো যানবাহন।

একই অবস্থা দেখা গেছে ধোলাইপাড়, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদ এলাকার বিভিন্ন সড়কেও। মানুষের যাতায়াত কম হওয়ায় এসব সড়ক অনেকটাই ফাঁকা। এসব এলাকায় গাড়ির চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। নগরজুড়ে চলছে ছুটির আমেজ।

তবে সড়কে গাড়ির সংখ্যা কম থাকলেও দায়িত্ব পালন থেকে নিস্তার নেই পুলিশ সদস্যদের। মতিঝিল মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য সনজিব বলেন, ঈদের সময়ে বিশেষ রোস্টার করে দায়িত্ব পালন করা হয়। ঈদের সময়ে মুসলিম সদস্যদের বেশির ভাগ ছুটি নিয়ে থাকেন, হিন্দুরা পূজার সময়। সড়কে গাড়ি থাকুক বা না থাকুক, নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ডিউটি করতেই হবে। এখান থেকে নড়ার সুযোগ নেই।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

ঈদুল আজহা ঈদের ছুটি ফাঁকা ঢাকা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কোস্ট গার্ডের নতুন ডিজি জিয়াউল হক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩২

সম্পর্কিত খবর