Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ধসের শঙ্কায় পাহাড় থেকে বাসিন্দাদের সরতে বলল চসিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ জুন ২০২৪ ১৯:৪৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আবহাওয়া অফিস ভূমিধসের সতর্কতা জারির পর চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড় ও উপকূলীয় এলাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিটি করপোরেশন। কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) টিম।

বুধবার (১৯ জুন) চসিকের সচিব আশরাফুল আমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পাহাড় থেকে বাসিন্দাদের সরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কাউন্সিলরদের বলা হয়েছে।

সন্ধ্যায় নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। ভারি বর্ষণের কারণে পাহাড়ধসের সম্ভাবনা আছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের জন্য তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এবং নদীবন্দরের জন্য এক নম্বর নৌ সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া কার্যালয়ে পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারেক সারাবাংলাকে বলেন, ‘সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে চট্টগ্রাম জুড়ে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। এতে পাহাড়ধসের ঝুঁকি আছে।’

কেন্দ্রীয়ভাবে আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভূমিধসের সম্ভাবনা আছে।

আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা পেয়ে চট্টগ্রামে জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে চসিক। সচিবের চিঠিতে ঝুঁকি মোকাবিলায় কাউন্সিলরদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয় সরে যেতে মাইকিং করছে চসিক।

চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা অনুসারে অন্তত তিন দিন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি থাকবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসের সম্ভাবনা আছে। এজন্য আগাম সতর্কতা হিসেবে নগরীর উপকূলীয় এলাকা ও পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পাহাড়ে এখন অবৈধ বসতির সংখ্যা ছয় হাজার ১৭৫ পরিবার। মোট ঝুঁকিপূর্ণ বসতিসম্পন্ন পাহাড় আছে ২৬টি।

চট্টগ্রাম নগরী এবং আশপাশের এলাকায় পাহাড়ধসে প্রতিবছরই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। গত ১৬ বছরে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে তিনশরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০০৭ সালের ১১ জন পাহাড়ধসে চট্টগ্রাম নগরীতে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ঘটনায় পাহাড়ে অবৈধ বসতি, ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস এবং প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে প্রায় প্রতিবছরই পাহাড়ধসে নগরী ও জেলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ২০২২ সালে নগরীর আকবর শাহ এলাকায় পাহাড়ধসে একই পরিবারের দুজনের মৃত্যু হয়।

সারাবাংলা/আরডি/আইই

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর