আগ্রাসন মোকাবিলায় পুতিন ও কিম জং উনের চুক্তি
১৯ জুন ২০২৪ ২২:৩৩
বিদেশি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একে অপরকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার (১৯ জুন) তার উত্তর কোরিয়া সফরের সময় এমন একটি অংশীদারিত্বের নথিতে স্বাক্ষর করেছেন।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া সম্পর্ককে নতুন স্তরে উন্নীত করেছে। রুশ প্রেসিডেন্টের বিরল উত্তর কোরিয়া সফরের সময় স্বাক্ষরিত নতুন চুক্তি অনুযায়ী, যে কোনো একটি দেশ তৃতীয় কোনো শক্তি দ্বারা আক্রান্ত হলে একে অপরকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি অনুযায়ী, সাংস্কৃতিক ও পর্যটন সম্পর্ক থেকে শুরু করে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং নিরাপত্তা পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে ভবিষ্যত সহযোগিতার জন্য একটি রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করবে। পুতিন এই অংশীদারিত্বকে যুগান্তকারী বলে বর্ণনা করেছেন।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, আমরা আজ যে নথিতে স্বাক্ষর করেছি, তাতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে একজনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হলে অপরজন সহায়তা প্রদান করার শর্ত। মস্কো সম্ভাব্য পশ্চিমা আগ্রাসন থেকে তার নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পিয়ংইয়ংয়ের অভিপ্রায়কে সমর্থন করে, যা তার অধিকার।
এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের দায়ী করেন পুতিন বলেন, অত্যধিক পশ্চিমা প্রোপাগান্ডা উত্তর-পশ্চিম এশিয়াসহ তাদের আক্রমণাত্মক ভূ-রাজনৈতিক উদ্দেশ্যগুলোকে আর আড়াল করতে পারে না।
পুতিন উল্লেখ করেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে উন্নত অস্ত্র সরবরাহ করছে এবং কিয়েভকে রাশিয়ায় আক্রমণ করার জন্য গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া আজ স্বাক্ষরিত নথির অধীনে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার বিকাশকে অস্বীকার করতে পারে না।
সফররত রুশ রাষ্ট্রপ্রধান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক উত্তর কোরিয়ার উপর আরোপিত অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছেন। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে একটি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।
সারাবাংলা/আইই