Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘গ্যাসের মজুত বাড়াতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০টি কূপ খনন করা হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ জুন ২০২৪ ১৯:২৭

গ্যাস ক্ষেত্র। প্রতীকী ছবি

ঢাকা: প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত বাড়াতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০টি বিভিন্ন ধরনের কূপ খনন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি আরও জানিয়েছেন, এসব কূপ সফলভাবে খনন করা গেলে দিনে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন। বৃহস্পতিবারের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত বাড়াতে সরকার বিভিন্ন মেয়াদের পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এর অধীনে ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০টি বিভিন্ন ধরনের কূপ খনন করা হবে, যেগুলো থেকে দিনে গড়ে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে ১১টি কূপের খনন ও ওয়ার্কওভার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এগুলো থেকে দিনে ১২৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন নিশ্চিত করা হয়েছে। দিনে ৩৩ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্তও হচ্ছে।

এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় সিসমিক জরিপ কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্পাদিত জরিপ থেকে প্রাপ্ত লিড ও প্রসপেক্ট যাচাই-বাছাই করে ২০২৫-২০২৮ সময়ে প্রায় ৮০-১০০টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।

নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকার ২৪টি ব্লকে ৩২ হাজার লাইন কিলোমিটার দ্বিমাত্রিক সিসমিক জরিপ পরিচালনার চলমান কার্যক্রমের প্রথম ধাপে এরই মধ্যে ১২ হাজার ৯৩২ লাইন কিলোমিটার সিসমিক জরিপ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ডাটা প্রসেসিংয়ের কাজ চলছে। আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক সিসমিক জরিপ শেষ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রকল্প প্রণয়ন করা হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে বিভিন্ন ধরনের আরও অনেক কূপ খনন করা সম্ভব হবে।

দেশের সমুদ্রাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে যুগোপযোগী ও প্রতিযোগিতামূলক করে প্রণীত ‘বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট ২০২৩’ সরকার অনুমোদন করেছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। বলেন, এর ভিত্তিতে বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড, ২০২৪-এর আওতায় গভীর ও অগভীর সমুদ্রের ২৪টি ব্লকে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থলভাগে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে অনশোর পিএসসি হালনাগাদ করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

গৃহীত পদক্ষেপের সুফল তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫০টি কূপের মধ্যে ১৩টি কূপের খনন ও ওয়ার্কওভার কার্যক্রম শেষ করার কথা আগেই বলা হয়েছে। পাশাপাশি দুটি কূপের খনন ও ওয়ার্কওভার কার্যক্রম চলমান। সম্পাদিত খনন ও ওয়ার্কওভার কার্যক্রমের ফলে মোট গ্যাসের সংস্থান হয়েছে ১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট। এরই মধ্যে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক সংযুক্ত গ্যাসের পরিমাণ গড়ে ৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ ছাড়া ২০২৫-২৮ সময়ে খনন ও ওয়ার্কওভারের জন্য চিহ্নিত কূপগুলোর প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মন্ত্রীর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অনুমোদন পাওয়া গেছে। অর্থায়নের প্রকৃতি নির্ধারণসাপেক্ষে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এসব কূপের খনন ও ওয়ার্কওভার কার্যক্রম গ্রহণ বিভিন্ন পর্যায়ে চলমান রয়েছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

গ্যাস কূপ খনন গ্যাসের মজুত জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী টপ নিউজ নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সংসদ অধিবেশন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

৯০০তম গোলে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৪

সম্পর্কিত খবর