Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জলবায়ু বাস্তুচ্যুত ও রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে অক্সফামের আহ্বান

সারাবাংলা ডেস্ক
২০ জুন ২০২৪ ২২:৪০

ঢাকা: জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক ও জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে গত এক দশকে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো জলবায়ু সংশ্লিষ্ট কারণে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত বাংলাদেশের ১৮ লাখ মানুষের সংকট নিঃসরণ ও পুনর্বাসনে পদক্ষেপ গ্রহণে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অক্সফাম ইন বাংলাদেশ। বিশ্ব শরণার্থী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞাপন

অক্সফামের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ পানি সংক্রান্ত দুর্যোগ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যূত সৃষ্টির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মতো বিপর্যয়কে প্রভাবিত করছে। এই মুহূর্তে দেশের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শিকার, যা মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রেমালে ৪৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৪৬ জেলার কৃষির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যা এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। এটি দেশের ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উদ্বেগ তৈরি করেছে।

বিজ্ঞাপন

একই সঙ্গে বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে ২০১৭ সাল থেকে অবস্থানরত প্রায় ১০ লাখ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষগুলো শতশত রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে সীমানায় আশ্রয় নিতে বাধ্য করছে, যা দেশের শরণার্থী সঙ্কটে নতুন অস্থিরতা তৈরি করছে। এমন পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা ও টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজনের উপর জোর দিচ্ছে অক্সফাম।

অক্সফাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বৈষম্যগুলো উন্মোচন করে দিয়েছে। ক্রমাগত জলবায়ু সংশ্লিষ্ট দুর্যোগ দেশের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ভোগান্তি আরও বাড়াচ্ছে, একটি দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে। এমন অবস্থায় সংকট নিরসনে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। বিশেষত, ধনী দূষণকারী দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের কার্বন নির্গমন হ্রাস করতে হবে, বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলিতে যথাযথ জলবায়ু অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। কারণ জলবায়ু অভিযোজন অর্থের প্রয়োজন; দুর্যোগ পূর্বপ্রস্তুতি ব্যবস্থা এবং সামাজিক সুরক্ষার জন্য অর্থায়ন প্রয়োজন।’

পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে জোরপুর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সমর্থন, উদ্যোগ ও সংহতির প্রয়োজন বলেও মনে করে অক্সফাম।

দামলে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ সকলকে রক্ষা করতে হবে। তাদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।’

সারাবাংলা/আইই

অক্সফাম জলবায়ু বাস্তুচ্যুত বিশ্ব শরণার্থী দিবস রোহিঙ্গা সংকট

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর