Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আদমদীঘিতে অনুমতি ছাড়াই সড়কের গাছ কাটার অভিযোগ

আমজাদ হোসেন মিন্টু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২২ জুন ২০২৪ ০৯:৫৭

বগুড়া: সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অনুমতি ছাড়াই বগুড়ার আদমদীঘিতে এক কাঠ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সড়কের দুই পাশের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, খায়রুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের নেতৃত্বে আব্দুস সালাম উপজেলার কদমা মৎস্য খামার এলাকায় ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের দুই পাশের গাছগুলো কেটেছেন। গত কয়েক দিনে প্রায় ১২টি গাছ কাটা হয়েছে।

খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে বগুড়া সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতানা খানমের নেতৃত্বে কেটে রাখা ১০টি গাছ জব্দ করা হয়।

জানা গেছে, গত ১৬ বছর আগে উপজেলার সান্তাহার ইউপির দমদমা গ্রামের ২৮ জন যুবক সড়কের দু’পাশে দেড় শতাধিক ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ করেন। তারা নিজ উদ্যোগে গাছগুলো পরিচর্যাও করেন। কাউকে না জানিয়েই হঠাৎ বুধবার (১৯ জুন) সকাল থেকে আব্দুস সালাম গাছগুলো কাটতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ২০ জুন বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষক ও কাঠ ব্যবসায়ীকে গাছ কাটতে নিষেধ করেন।

দমদমা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আতোয়ার রহমান বলেন, ‘গাছগুলো আমার ছেলে শাহরিয়ার কবির শিপলুসহ আমার মহল্লার প্রায় ২৮ জন যুবক রোপণ করছিল। কিন্তু তাদের না জানিয়েই গাছগুলো কাটা শুরু করেন। পরে সালামের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি দমদমা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক খায়রুল ইসলাম তাকে গাছগুলো কাটতে বলেছেন। যারা গাছগুলো লাগিয়েছেন তাদের না জানিয়ে গাছগুলো কাটা অন্যায়। তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’

জানতে চাইলে আব্দুস সালাম জানান, তিনি গাছগুলো কিনে নিয়েছেন মাত্র। গাছগুলো কাটতে দমদমা পূর্বপাড়া মসজিদের নামে একটি দরখাস্ত দেওয়া হয়। এরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে তাদের একটি কাগজ দিয়েছে। গাছগুলো কাটার কাগজ তার কাছে রয়েছে। কিন্তু তিনি সেই কাগজ কাউকে দেখাতে রাজি নন।

অভিযুক্ত খায়রুল ইসলাম জানান, গাছগুলো মসজিদে দেওয়া হবে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা আদমদীঘি থানার উপ পরিদর্শক মানিক কুমার বলেন, আব্দুস সালাম অনুমোদনের কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তারাই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান পিন্টু বলেন, সড়কে যে কেউ গাছ লাগাতে পারবে তবে দরপত্র ছাড়া কেউ কাটতে পারবেন না। তারা যে কাজটি করেছেন এটি রীতিমতো অপরাধ। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা হওয়া উচিৎ।

জানতে চাইলে আদমদীঘি উপজেলা বন কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) জানান, বিষয়টি দেখব।

বগুড়া সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতানা খানম জানান, ওই সড়কে গাছ কাটতে আমরা কাউকে অনুমোদন দেয়নি। অবৈধভাবে গাছ কাটায় বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে ঘটনাস্থল থেকে ১০টি গাছ জব্দ করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সারাবাংলা/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর