ঢাকা: ‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত-সমালোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মো. মতিউর রহমানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।
রোববার (২৩ জুন) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মকিমা বেগমের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের কর্মকর্তা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মো. মতিউর রহমানকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মতিউর রহমান ১১তম বিসিএসে বাণিজ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। পরে এই ক্যাডারের সাত কর্মকর্তাকে কাস্টমস ক্যাডারে একীভূত করা হয়। মতিউর রহমান তাদের একজন। এনবিআর সদস্য এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের পাশাপাশি ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদে রয়েছেন তিনি।
মতিউর রহমানের কলেজ পড়ুয়া ছেলে ইফাত সদ্যগত ঈদুল আজহায় সাদিক এগ্রো এবং ঢাকার অন্তত সাতটি খামার ও একটি হাট থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু-ছাগল কিনে আলোচনায় আসেন। এর মধ্যে সাদেক এগ্রোর ১২ লাখ টাকার একটি ছাগলও ছিল। সমালোচনার মুখে ১ লাখ টাকা অগ্রিম দেওয়া ছাগলটি আর নেওয়া হয়নি তার। গত বছরও তিনি ৬০ লাখ টাকার পশু কিনেছিলেন বলে জানা যায়।
এদিকে ‘ছাগলকাণ্ড’ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলে মতিউর রহমান বলেন, ‘ইফাত তার ছেলে নয়। ইফাত নামে কাউকে তিনি চেনেন না।’ তবে একাধিক নিকটাত্মীয় ও জনপ্রতিনিধি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, ইফাত মতিউর রহমানেরই ছেলে ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সংসারের প্রথম সন্তান।