Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সৈকতে সাপ দিয়ে পর্যটনখাত ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে— দাবি ব্যবসায়ীদের

ওমর ফারুক হিরু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৪ জুন ২০২৪ ১০:২১

কক্সবাজার: পর্যটন রাজধানীখ্যাত কক্সবাজারের মূল আকর্ষণ দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতেই ভেসে আসা এক সামুদ্রিক বিষাক্ত সাপের এক ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন সমুদ্র থেকে সাপ ভেসে আসার ছবি-ভিডিও’র বিষয়টি মিথ্যা, বানোয়াট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সাপের ছবি-ভিডিও দেখানো হয়েছে তা ইন্টারনেট থেকে নেওয়া হয়েছে। মূলত পর্যটন নগরীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই একটি মহল এমন গুজব ছড়াচ্ছে বলে দাবি তাদের।

বিজ্ঞাপন

প্রশাসনও বলছে, এখন পর্যন্ত সমুদ্রের পাড়ে সাপের কামড়ে হতাহতের কোনো রেকর্ড নেই। পর্যটন শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন গুজব থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।

পর্যটনখাত সংশ্লিষ্টরা জানান, সমুদ্র সৈকতে বৈরি আবহাওয়াসহ নানা কারণে মাঝে-মধ্যে ভেসে আসে মৃত ডলফিন, জেলিফিশ, নীল তিমি, কাছিম, নানা সামুদ্রিক প্রাণীসহ ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ। কখনো কখনো সামুদ্রিক সাপ ভেসে এলেও তাদের কামড়ে কখনো কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

তাদের অভিযোগ, অতি উৎসাহী এবং কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের ক্ষতির প্রচেষ্টায় থাকা একটি মহল এই সাপের গুজব ছড়াচ্ছে। মূলত তারা পর্যটকদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে কক্সবাজারকে পর্যটকবিমুখ করে অন্য পর্যটন স্পটকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। এই অসুস্থ মানসিকতার মধ্য দিয়ে তারা শুধু কক্সবাজারের নয়, সমগ্র দেশের পর্যটন শিল্পের ক্ষতি করছে।

সমুদ্র সৈকতের সাপ দেখার ছবি-ভিডিও’র প্রসঙ্গে সৈকতের চেয়ার ব্যবসায়ী রাকিব হোসেন বলেন, ‘এই বিচে ২০ বছর ধরে ব্যবসা করছি, এতকিছু দেখলাম কিন্তু কখনো সাপ দেখলাম না। যারা সাপের কথা বলছে তারা সম্পূর্ণ ভুয়া।’

বিচ ফটোগ্রাফার রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘আমি তো কখনো সৈকতে সাপ দেখিনি। এসব ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট ও ভিউ বাড়ানোর জন্য করা হচ্ছে। এই মিথ্যা সংবাদ যারা প্রচার করছে তারা কক্সবাজারের শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’

বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আব্দুর রহমান জানান, সমুদ্র সৈকতে অনেক সময় অনেক কিছু ভেসে আসে, কিন্তু সাপের কামড় বা কোন সামুদ্রিক প্রাণির আঘাতে কেউ মারা যায়নি। এটা গুজব ছাড়া কিছুই নয়। যারা এসব কথা বলে তারা পর্যটন শিল্পের শত্রু, তারা দেশের শত্রু। তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার।

বিজ্ঞাপন

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির পাশা বলেন, ‘সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে যে সাপের ছবি ও ভিডিও দেখানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও চক্রান্ত। গুগলে সার্চ দিয়ে দেখা গেছে এই ছবি ও ফুটেজ নেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট থেকে। কেউ চাইলে আমার সাথে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে। যারা এই কাজ করছে তারা দেশদ্রোহি।’

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘সমুদ্র সৈকতে সাপের উপদ্রবে কোনো পর্যটকের ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, বিষয়টি গুজব। এ ব্যাপারে সকলের সতর্ক থাকা উচিৎ।’

সারাবাংলা/এমও

কক্সবাজার পর্যটনখাত সৈকতে সাপ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দু’দিনে ভারতে ৯৯ টন ইলিশ রফতানি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৪

সম্পর্কিত খবর