দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী ৪ জুলাই
২৪ জুন ২০২৪ ১৬:৩১ | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪ ১৮:৫৬
ঢাকা: দেশের জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়ন ও নতুন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে প্রথমবারের মতো বসতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী।
‘গহনায় হোক প্রযুক্তির ছোঁয়া’-এই স্লোগানে আগাী ৪ জুলাই থেকে শুরু হবে ‘প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০২৪’। যা চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত।
রাজধানীর কুড়িলে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) হল-০২, পুষ্পগুচ্ছে প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উম্মুক্ত থাকবে। টিকিট ছাড়াই দেখা যাবে এ প্রদর্শনী।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের প্রায় ১০টি দেশের ৩০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
সোমবার (২৪ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বাজুস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সহ-সভাপতি সমিত ঘোষ অপু, সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়, মুখপাত্র ও সাবেক সভাপতি এবং কার্যনির্বাহী সদস্য দিলীপ কুমার রায়, সহ-সভাপতি সমিত ঘোষ অপু, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, কেএনসি সার্ভিসেসের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রান্তি নাগভেকার প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে সমিত ঘোষ অপু বলেন, এই প্রদর্শনীর ফলে বিশ্বের আধুনিক মেশিনারিজের সঙ্গে এই খাতের ব্যবসায়ীদের পরিচিতি ঘটবে। যার ফলে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক জুয়েলারি শিল্প কারখানা স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। নতুন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপিত হলে জুয়েলারি শিল্পের বিকাশ ও রফতানির দুয়ার উন্মোচিত হবে।
তিনি বলেন, এদেশে স্বর্ণ শিল্পের হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে পাবে। আমাদের দেশের কারিগর বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক ডিজাইনের গহনা তৈরি করতে সক্ষম হবে। দেশের স্বর্ণ শিল্পীদের গড়া নিত্য নতুন আধুনিক ডিজাইনের অলংকারের পরিচিতি বাড়বে। বাজুস আশা করছে, এই প্রদর্শনী দেশীয় জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধশালী করার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে একটি নতুন অবস্থান তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে ভারতের ছয়টি প্রতিষ্ঠান- তিষা সিএনসি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, নিও ইন্সট্রুমেন্ট, সোলাংকি মেশিনারিজ ওয়ার্কস, ইরা কর্পোরেশন, কোয়ান্টাম ইকুইপমেন্ট, এ্যাকযেট সলিউশন।
ইতালির তিনটি প্রতিষ্ঠান জেটিই, ফাস্টি ও ওমপার। তুরস্কের তিনটি প্রতিষ্ঠান ওটেক, অরটেক ও গুভেনিস জুয়েলারি মোল্ড অ্যান্ড মেশিন। জার্মানির ফিশার, চীনের ডু ইট ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড।
বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ড্রিমস ইন্সট্রমেন্ট টেকনোলজি, বাংলাদেশ সাইন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্ট কোম্পানি, এক্সপার্ট ইন্সট্রুমেন্ট, ট্রাস্ট, র্যার্টস বিডি।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনইউ