Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অনিয়মের অভিযোগে ৬ মেডিকেল কলেজ বন্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ জুন ২০২৪ ১৮:৪১

ঢাকা: দেশে বর্তমানে ৭২টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। সংসদ অধিবেশনে তিনি জানিয়েছেন, আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করায় চারটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, আরও দুটি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

সরাকরি দলের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, হাসপাতালের অবকাঠামোগত বৈদ্যুতিক লাইনের সমস্যা এবং দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল ঘাটতিতে অনেক সময় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যায় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোয় নতুন যন্ত্রপাতিও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে পারে। তবে যন্ত্রপাতিগুলো দ্রুত চালু করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সারা দেশে ১৪ হাজার ৮৯০টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে ১৪ হাজার ৩২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে, ৬৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণকাজ চলছে।

মন্ত্রী জানান, এসব ক্লিনিকে ১৪ হাজার ২৫৬ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার কর্মরত আছে। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে গ্রামীণ জনগণকে মূলত স্বাস্থ্য-শিক্ষা, স্বাস্থ্য উন্নয়ন, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগ শনাক্তকরণ, সীমিত নিরাময়মূলক সেবাসহ জরুরি ও জটিল রোগীদের যথাযথ ব্যবস্থাপনার জন্য উচ্চতর পর্যায়ে রেফারেল সংক্রান্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথের আরেক প্রশ্নের জবাবে সামন্ত লাল সেন বলেন, সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে দেশে মোট মেডিকেল কলেজ ১১০টি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩৭টি, যেগুলোতে আসন সংখ্যা পাঁচ হাজার ৩৮০টি। সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ১২৫টি। এ ছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ৭২টি। এর মধ্যে সেনাবাহিনী পরিচালিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজ পাঁচটি, যেগুলোতে আসন ২৬০টি। বাকি ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ছয় হাজার ২৯৭টি।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে সব রোগ নির্ণয় ও স্বাস্থ্য সেবার ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগ নির্ণয়ের ফি যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবার মূল্যের ফি নির্ধারণের জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

একই দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, জাতীয় কলেরা নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা ২০১৯-২০৩০ অনুযায়ী সারা দেশে ডায়রিয়া ও কলেরা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পাঁচ কোটি মানুষকে কলেরা ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা জিএভিআই ও জিটিএফসিসি থেকে অনুমোদন পেয়েছে। সারা দেশের সব সরকারি হাসপাতালে কলেরা শনাক্তকরণের কিট সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

ডা. সামন্ত লাল সেন সংসদ অধিবেশন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর