আ.লীগের মিছিলে মারামারি, ছুরি হাতে ভাইরাল যুবক গ্রেফতার
২৫ জুন ২০২৪ ২২:১০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে ছুরি হাতে মারামারির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি এলাকা থেকে ওই যুবককে কোতোয়ালী থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার যুবক মো. রাকিব হোসেনের বাসা নগরীর হামজারবাগ এলাকায়। বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট উপজেলায়।
নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারি কমিশনার অতনু চক্রবর্তী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সমাবেশ পরবর্তী মিছিলের মধ্যে রাকিবকে ছুরি হাতে তেড়ে গিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দেখা গিয়েছিল। এ সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে। পরবর্তীতে আমরা তাকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজতে থাকি। আজ (মঙ্গলবার) বায়েজিদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাকিবের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’
গত রোববার (২৩ জুন) বিকেলে নগরীর লালদিঘী মাঠে সমাবেশের পর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিল বের করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। মিছিল লালদিঘী থেকে বকশিরহাট বিট হয়ে আন্দরকিল্লা মোড়ে পৌঁছানোর পর দু’পক্ষে মারামারি শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, রাকিব মারামারিতে অংশ নিয়ে ছুরি হাতে আক্রমণের জন্য তেড়ে যাচ্ছে। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে মারামারি এড়িয়ে নেতারা মিছিল নিয়ে মোমিন রোডের দিকে এগিয়ে যান।
জানা গেছে, ছুরি হাতে আতঙ্ক তৈরি করা যুবক রাকিব নগরীর মুরাদপুর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা নামধারী জনৈক মোহাম্মদ ফিরোজের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। মিছিলের মধ্যে ফিরোজ গ্রুপ এবং একই এলাকায় ইলিয়াছ সরকারের অনুসারীদের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। রাকিব ছুরি হাতে প্রতিপক্ষের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন।
মারামারিতে জড়িত উভয়পক্ষ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন বলে জানা গেছে।
এদিকে আন্দরিকল্লায় মারামারি করে মিছিল শেষে ফেরার পথে সন্ধ্যায় নগরীর মুরাদপুরে আবারও উভয়পক্ষ সংঘাতে জড়ায়। এসময় মুরাদপুরে মক্কা হোটেল নামে একটি রেস্তোরাঁ ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।
স্থানীয় পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘মক্কা হোটেলে ভাংচুরের ঘটনায় কেউ মামলা করেনি। রাকিবকে আমরা আগে গ্রেফতার করেছিলাম। তার বিরুদ্ধে এলাকায় আরও মারামারি, সংঘর্ষের অভিযোগ আছে।’
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ